খাদিমুল ইসলাম,বানারহাট: নদীর পাড়ে বাস, চিন্তা বারোমাস, কথায় আছে।এমনটাই অবস্থা এখন জলঢাকা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের। আকাশে মেঘ করলে অথবা বৃষ্টি হলেই রাতের ঘুম উড়ে যায় এই গ্রামের মানুষ দের। নদীর পাড়ে বসে রাত কাটে বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটকিদহ গ্রামের বাসিন্দাদের।
পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে যার কারণে ফুলে-পেঁপে উঠেছে জল ঢাকা নদী। নতুন করে শুরু হয়েছে জলঢাকা নদীর পারে ভাঙন। তাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
একসময় নদী ছিল অনেকটা দূরে, তবে এখন নদী পার ভাঙতে ভাঙতে একেবারে দুয়ারে চলে এসেছে, সেই কারণে বৃষ্টি হলেই আতঙ্কে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা।এই জলঢাকা নদী গত বর্ষাতেও বাড়ি গুলি থেকে প্রায় ২০ মিটার দূরে ছিল, এখন তা বাড়ির উঠোনের গা কেসে বয়ে চলেছে। যার কারণে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গেছে বাসিন্দাদের। বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গা ঘেঁষে যাওয়া জলঢাকা নদী পাশে প্রায় আড়াইশো টি পরিবার বসবাস করেন। পাটকিদহ এবং বারোঘরিয়া ডাঙ্গা পাড়া এলাকা। রাতে বৃষ্টি হলেই নদীর পাড়ে বসে আতঙ্কে রাত জেগে কাটান গ্রামের মানুষরা। নদীর পাশে অস্থায়ী বাসের মাচায় বসে প্রতি মুহূর্ত ও নজর রাখেন নদীর গতি প্রকৃতির ওপর। এই বুঝি নদী সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। এই আতঙ্ক কুরে কুরে খাচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের। কিছুদিন আগেই প্রশাসনের তরফে নদীতে আর বাধ দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলো। তবে পাথরের অভাবে সে কাজও মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্ষা শুরুতে এই অবস্থা হলে ভারী বর্ষাতে, কি হবে তা ভেবেই আতকে উঠছেন গ্রামের বাসিন্দারা।