খাদিমুল ইসলাম,বানারহাট: ডুয়ার্সে পর্যটকদের জন্য “উল্টো তাজমহল”, বিতর্কের মাঝে উদ্বোধন, ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন। পাহাড়, নদী, জঙ্গল এবং বন্যপ্রাণীদের টানেই মূলত তারা এখানে আসেন। এবার তাদের জন্য আরও একটি আকর্ষণ সংযোজিত হয়েছে—“উল্টো তাজমহল”। ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের আপার কলাবাড়ির একটি বেসরকারি রিসর্টে এই অভিনব স্থাপত্য তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে এই রিসর্টের “উল্টো বাড়ি” তৈরি করে চমক দেখানো হয়েছিল, যা পর্যটকদের বিপুল সাড়া পেয়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো তাজমহল, তবে সম্পূর্ণ উল্টো। রিসর্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি পর্যটকদের বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। রিসর্টের কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমান জানান, “উল্টো তাজমহল” সম্পূর্ণ গ্লাস ফাইবার দিয়ে নির্মিত এবং এটি তৈরি করতে প্রায় আট মাস সময় লেগেছে।এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত করিমুল হক। উদ্বোধনের পর তিনি জানান, “উল্টো তাজমহল” এর ধারণাটি শুনে প্রথমে তিনি অবাক হন। তবে এটি যে শুধুমাত্র পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য নির্মিত, সেটি পরিষ্কার। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, যদি এই স্থাপত্য নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়, তার দায় রিসর্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
প্রথম দিনেই “উল্টো তাজমহল” দেখতে এবং ছবি তুলতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। নেপাল থেকে আসা এক পর্যটক চিত্তকুমার রাই বলেন, “উল্টো বাড়ি ও উল্টো তাজমহল দেখে আমরা অভিভূত। এটি একেবারে অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা।”তবে ঐতিহ্যপূর্ণ তাজমহলকে উল্টো আকারে তৈরি করা নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়েছে। অনেকেই এই ধরনের স্থাপত্যকে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি অশ্রদ্ধা বলে অভিহিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে শেখ জিয়াউর রহমান জানান, “আমাদের লক্ষ্য শুধু পর্যটকদের আনন্দ দেওয়া, বিতর্ক সৃষ্টি করা নয়।” যদিও বিতর্ক থাকুক বা না থাকুক, উল্টো তাজমহল ইতিমধ্যেই পর্যটকদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই অভিনব স্থাপত্য যে ডুয়ার্সের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করবে, তা নিশ্চিত।