খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট: রাত হলেই বেশ কিছু মাস ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট এর বেশ কিছু এলাকায় চলছে হাতির তাণ্ডব। পাকা ধান ঘরে তোলার সময় এ ভোগান্তিতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এ অবস্থায় বুনো হাতির থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান” মধ্য,শালবাড়ি ,চানাডিপা উত্তর শালবাড়ি, রাবা বস্তি এলাকার ফসলি জমিতে খট্টিমারি এবং তোতাপাড়া বনের বুনো হাতি প্রতি রাতে হানা দেয়। আমন পাকা ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে হাতির দল এসে তা নষ্ট করে। ধান, সুপারি গাছ এমনকি কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে ফেলে। এদিকে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টো মানুষকে ধাওয়া করে। সারা দিন কাজ করে আবার রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। কৃষকেরা বুনো হাতির হানায় ফসল জমিতে রাখতে পারছেন না। শীতের মধ্যে পাকা ধান রক্ষায় জমির পাশেই বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে পাহারা দেন কৃষকেরা। সঙ্গে রাখেন প্লাস্টিক ও টিনের তৈরি ড্রাম। কিছুক্ষণ পর শব্দ করে চিৎকার করেন, যাতে হাতি জঙ্গলে ফিরে যায়
কৃষক ফুলেশ্বর রায়ের ছেলে অনন্ত রায় বলেন
ফসলি মাঠে বাঁশ দিয়ে ৩ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাচা তৈরি করে রাতে বসে থাকি হাতির তাড়ানোর জন্য। সোফিয়া রহমান বলেন, ‘হাতি আমাদের সব ফসল নষ্ট করে ফেলছে। এ অবস্থায় মশাল
প্লাস্টিক ও টিনের ড্রামের শব্দ করে রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। এ কারণে ৩ ফুট উঁচুতে বাঁশের মাচা তৈরি করেছি, যাতে বন্য হাতি ধান ক্ষেতে আক্রমণ করতে না পারে।’এভাবে মাচা তৈরি করে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন কৃষক, সোফিয়ার রহমান, ভাত্তু উড়াও , অনন্ত রায়,। ফসল কাটার আগ পর্যন্ত চলবে তাঁদের পাহারা দেওয়ার কাজ। তবে বুনো হাতির আক্রমণ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত বন কর্মীরা কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন কৃষকেরা।