নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: আমার অনেক বয়স হয়েছে। তাই মনে হয় সময় এসেছে হস্তান্তরের। এখন আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই। বিধানসভা ভোটের এক বছর আগে ফের একথা বলে প্রার্থী না হওয়ার জল্পনা উসকে দিলেন বারাসতের তিনবারের বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। একইসঙ্গে বিকাশ ভবনে চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগেরও নিন্দা করেন তিনি। রবিবার বিকেলে বারাসত পুরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপুরে হাই-মাস্ট লাইট, সেলফি জোন, কাউন্সিলরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সহ অভাব-অভিযোগ জানাতে ‘হ্যালো কাউন্সিলর’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “১৫ বছর এখানে (বারাসতে) আছি। মানুষের সঙ্গে মিশলাম, ভালো-মন্দে রইলাম। প্রথমবার সুপারস্টার চিরঞ্জিত জিতেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়, তৃতীয়বার তো সেটা হবে না। মানুষ আমাকে যাচাই করেছে। আমি বুঝেছি বারাসতের মানুষ আমাকে পছন্দ করে, সম্মান করে। সে কারণেই আমাকে রাখা হয়েছে। কিন্তু অনেক বয়স হয়েছে আমার। এখন আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই। আমার মনে হয় এবার সময় এসেছে হস্তান্তরের।” বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক। তবে, শেষ সিদ্ধান্ত দলনেত্রী নেবেন জানিয়ে জল্পনা উস্কে তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি অনুরোধও করেছি। উনি বলেছেন এখনও এক বছর বাকি আছে। মুখ্যমন্ত্রীর কি সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা একমাত্র উনিই জানেন। এবার উনি যদি আমাকে বলেন থাকতেই হবে, ছাড়বেন না, আমার থাকার প্রয়োজন আছে, তাহলে আমি ভাববো।” সঙ্গে চিরঞ্জিতের সংযোজন, “যারা রাজনীতিতে আগ্রহী, যারা রাজনীতি করতে চান, যাদের এটা কাজ, তাদের করা উচিত। প্রথম থেকে এই কথাটা বলে আসছি। আমি রাজনীতিতে আগ্রহী নই। আমার কাজ সিনেমা করা।” বিকাশ ভবনে চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল বিধায়ক হয়েও এই প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, “যুদ্ধ যেমন ভালো না, পুলিশের লাঠিচার্জও ভালো না। এটা অন্যায়। না হলেই ভালো হত।”