ধূপগুড়িতে আজ পালিত হচ্ছে হজরত মজনু শাহের ৮৩তম ওরশ উৎসব

খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট:ধূপগুড়িতে আজ পালিত হচ্ছে হজরত মজনু শাহের ৮৩তম ওরশ উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে ধূপগুড়ি মিলপাড়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মাজার শরিফ প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছে এক সর্বধর্মের মিলনমেলায়। প্রতি বছরের মতো এবারও ভক্ত, অনুরাগী ও দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে মাজার চত্বরে।

ওরশলক্ষে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। কেবল জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার বা শিলিগুড়ি নয়, ভুটান ও বাংলাদেশ থেকেও বহু ধর্মের মানুষ আসেন এখানে প্রার্থনা করতে। মোমবাতি ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে তাঁরা মনোকামনা পূরণের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

হজরত মজনু শাহের এই মাজারে প্রতিবছর তাঁর প্রয়াণ দিবসে ওরশ পালিত হয়ে থাকে। সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন প্রার্থনা করতে। পরে তাঁদের মধ্যে বিতরণ করা হয় বিশেষ প্রসাদ বুন্দিয়া, কালোজিরা ও চিনির মিশ্রণে তৈরি এই প্রসাদ ওরশের ঐতিহ্য বহন করে আসছে বহু বছর ধরে।

ওরশকে ঘিরে বসেছে দু’দিনব্যাপী মেলা। মাজার চত্বরে সাজানো হয়েছে নানান দোকান খেলনা, মনিহারী, মোমবাতি, খাবারসহ নানা সামগ্রী বিক্রির স্টল। উৎসবের প্রথম দিনেই অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুক্রবার রাতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তারা। দূরদূরান্ত থেকে আগত মওলানা ও মুন্সিরা। সারারাত ধরে কোরআন পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনা করবেন।

ওরশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাজার প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। ভক্তদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য গোটা এলাকা সিসি ক্যামেরার মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে উৎসব প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে আজ।

ওরশ কমিটির সম্পাদক আবু তালেব ও সভাপতি আলতাব হোসেন বলেন,“প্রতি বছর বাংলা মাসের ২৭শে কার্তিক আমরা হজরত মজনু শাহের ওরশ পালন করি। এখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বিহারি, নেপালি সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে প্রার্থনা করতে আসেন। আমরা বিশ্বাস করি, এখানে যারা আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করেন তাঁদের মনস্কামনা পূরণ হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এই উৎসবে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও।”

ধূপগুড়িতে আজ পালিত হচ্ছে হজরত মজনু শাহের ৮৩তম ওরশ উৎসব

খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট:ধূপগুড়িতে আজ পালিত হচ্ছে হজরত মজনু শাহের ৮৩তম ওরশ উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে ধূপগুড়ি মিলপাড়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মাজার শরিফ প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছে এক সর্বধর্মের মিলনমেলায়। প্রতি বছরের মতো এবারও ভক্ত, অনুরাগী ও দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে মাজার চত্বরে।

ওরশলক্ষে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। কেবল জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার বা শিলিগুড়ি নয়, ভুটান ও বাংলাদেশ থেকেও বহু ধর্মের মানুষ আসেন এখানে প্রার্থনা করতে। মোমবাতি ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে তাঁরা মনোকামনা পূরণের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

হজরত মজনু শাহের এই মাজারে প্রতিবছর তাঁর প্রয়াণ দিবসে ওরশ পালিত হয়ে থাকে। সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন প্রার্থনা করতে। পরে তাঁদের মধ্যে বিতরণ করা হয় বিশেষ প্রসাদ বুন্দিয়া, কালোজিরা ও চিনির মিশ্রণে তৈরি এই প্রসাদ ওরশের ঐতিহ্য বহন করে আসছে বহু বছর ধরে।

ওরশকে ঘিরে বসেছে দু’দিনব্যাপী মেলা। মাজার চত্বরে সাজানো হয়েছে নানান দোকান খেলনা, মনিহারী, মোমবাতি, খাবারসহ নানা সামগ্রী বিক্রির স্টল। উৎসবের প্রথম দিনেই অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুক্রবার রাতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তারা। দূরদূরান্ত থেকে আগত মওলানা ও মুন্সিরা। সারারাত ধরে কোরআন পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনা করবেন।

ওরশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাজার প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। ভক্তদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য গোটা এলাকা সিসি ক্যামেরার মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে উৎসব প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে আজ।

ওরশ কমিটির সম্পাদক আবু তালেব ও সভাপতি আলতাব হোসেন বলেন,“প্রতি বছর বাংলা মাসের ২৭শে কার্তিক আমরা হজরত মজনু শাহের ওরশ পালন করি। এখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বিহারি, নেপালি সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে প্রার্থনা করতে আসেন। আমরা বিশ্বাস করি, এখানে যারা আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করেন তাঁদের মনস্কামনা পূরণ হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এই উৎসবে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও।”