রঙে সাজছে বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরের রাস্তা

মহম্মদ শাহজাহান আনসারী ,মুকুটমণিপুর: রঙে সাজছে বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরের রাস্তা। কংসাবতী জলাধারের পাড়ে স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি রঙিন পথচিত্র এখন পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ। এই শীতে মুকুটমণিপুর পেতে চলেছে এক নতুন রূপ।

মুকুটমণিপুরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিল মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কংসাবতী জলাধারের পাড় ধরে চলা রাস্তার ওপর আঁকা হচ্ছে রঙিন আলপনা বা পথচিত্র। স্থানীয় শিল্পীদের হাতের স্পর্শে নৌকা, ময়ূর, হরিণ, মাছ সহ এলাকার বিশেষত্ব এই সবই ফুটে উঠছে রঙের ছোঁয়ায়। পর্যটন মরশুমের আগে এই উদ্যোগে উৎসাহে মেতেছেন শিল্পী থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, সবাই। এই পথচিত্র আঁকার প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল গত কয়েক বছর আগে। ২০১৭ সালেই মুখ্যমন্ত্রী মুকুটমণিপুর সফরে এসে নিজে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের কাজ দেখেন এবং প্রশংসা করেন। কয়েক বছর ধরে আঁকা আলপনা সময়ের সঙ্গে মুছে গিয়েছিল। এবার আবার নতুন করে জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩৩০ মিটার রাস্তার ওপর পথচিত্র আঁকার কাজ শুরু হয়েছে থেকে।

রাজ্যের মন্ত্রী তথা মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, শীতের মরশুমে পর্যটকদের জন্য প্রতি বছরই মুকুটমণিপুরকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবছরও স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে পথচিত্রের মাধ্যমে জলাধারের পাড়ের রাস্তার সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে আরও নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই পথচিত্র পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে তিনি আশাবাদী।

পথচিত্র আঁকার কাজে যুক্ত শিল্পীরা জানান, মুকুটমণিপুর বছরের পর বছর ধরেই পর্যটকদের প্রিয় জায়গা। শুধু রাজ্যের বিভিন্ন জেলা নয়, ভিনরাজ্য থেকেও অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। শিল্পী দয়াময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা চাই, মুকুটমণিপুরকে আরও সুন্দরভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে। তাই এলাকার পরিচিত জিনিসগুলো যেমন হরিণ, নৌকা, মাছ আঁকছি। এতে এখানকার সংস্কৃতির ছাপ ফুটে উঠবে। মোট ১৫ জন শিল্পী দল বেঁধে এই কাজ করছেন এবং তাঁদের লক্ষ্য ১৫ দিনের মধ্যেই পথচিত্রের কাজ শেষ করা।

ইতিমধ্যেই পর্যটকরা থমকে থমকে ছবি তুলছেন। পর্যটকরা জানান, এরকম আলপনা আগে কখনও রাস্তার ওপর দেখিনি। অসাধারণ লাগছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,‌ আসন্ন পর্যটন মরশুমে এটাই মুকুটমণিপুরের নতুন আকর্ষণ হতে চলেছে।

রঙিন পথচিত্রে এখন সাজছে মুকুটমণিপুর। আসন্ন শীতের পর্যটন মরশুমে এই উদ্যোগ পর্যটকদের মন আরও জয় করবে -এমনটাই আশা সকলের।

রঙে সাজছে বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরের রাস্তা

মহম্মদ শাহজাহান আনসারী ,মুকুটমণিপুর: রঙে সাজছে বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরের রাস্তা। কংসাবতী জলাধারের পাড়ে স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি রঙিন পথচিত্র এখন পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ। এই শীতে মুকুটমণিপুর পেতে চলেছে এক নতুন রূপ।

মুকুটমণিপুরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিল মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কংসাবতী জলাধারের পাড় ধরে চলা রাস্তার ওপর আঁকা হচ্ছে রঙিন আলপনা বা পথচিত্র। স্থানীয় শিল্পীদের হাতের স্পর্শে নৌকা, ময়ূর, হরিণ, মাছ সহ এলাকার বিশেষত্ব এই সবই ফুটে উঠছে রঙের ছোঁয়ায়। পর্যটন মরশুমের আগে এই উদ্যোগে উৎসাহে মেতেছেন শিল্পী থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, সবাই। এই পথচিত্র আঁকার প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল গত কয়েক বছর আগে। ২০১৭ সালেই মুখ্যমন্ত্রী মুকুটমণিপুর সফরে এসে নিজে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের কাজ দেখেন এবং প্রশংসা করেন। কয়েক বছর ধরে আঁকা আলপনা সময়ের সঙ্গে মুছে গিয়েছিল। এবার আবার নতুন করে জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩৩০ মিটার রাস্তার ওপর পথচিত্র আঁকার কাজ শুরু হয়েছে থেকে।

রাজ্যের মন্ত্রী তথা মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, শীতের মরশুমে পর্যটকদের জন্য প্রতি বছরই মুকুটমণিপুরকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবছরও স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে পথচিত্রের মাধ্যমে জলাধারের পাড়ের রাস্তার সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে আরও নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই পথচিত্র পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে তিনি আশাবাদী।

পথচিত্র আঁকার কাজে যুক্ত শিল্পীরা জানান, মুকুটমণিপুর বছরের পর বছর ধরেই পর্যটকদের প্রিয় জায়গা। শুধু রাজ্যের বিভিন্ন জেলা নয়, ভিনরাজ্য থেকেও অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। শিল্পী দয়াময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা চাই, মুকুটমণিপুরকে আরও সুন্দরভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে। তাই এলাকার পরিচিত জিনিসগুলো যেমন হরিণ, নৌকা, মাছ আঁকছি। এতে এখানকার সংস্কৃতির ছাপ ফুটে উঠবে। মোট ১৫ জন শিল্পী দল বেঁধে এই কাজ করছেন এবং তাঁদের লক্ষ্য ১৫ দিনের মধ্যেই পথচিত্রের কাজ শেষ করা।

ইতিমধ্যেই পর্যটকরা থমকে থমকে ছবি তুলছেন। পর্যটকরা জানান, এরকম আলপনা আগে কখনও রাস্তার ওপর দেখিনি। অসাধারণ লাগছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,‌ আসন্ন পর্যটন মরশুমে এটাই মুকুটমণিপুরের নতুন আকর্ষণ হতে চলেছে।

রঙিন পথচিত্রে এখন সাজছে মুকুটমণিপুর। আসন্ন শীতের পর্যটন মরশুমে এই উদ্যোগ পর্যটকদের মন আরও জয় করবে -এমনটাই আশা সকলের।