তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

মহম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া:– সম্প্রতি বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে রানিবাঁধ ব্লকে তৃণমূলের ঐক্যবদ্ধ ছবি দেখা গিয়েছিল। সেই রানিবাঁধে এ বার এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই এক যুবনেতার বিরুদ্ধে। রানিবাঁধের ধগড়া গ্রামের তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণপদ মাহাতো জখম অবস্থায় রবিবার রাতে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার হাসপাতালে শুয়ে তিনি বলেন, “রবিবার রাতে হঠাৎই আমাদের ব্লকের, আমাদের দলেরই এক যুব নেতা আমাকে বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে বলেন। বাইরে বেরোতেই তিনি ও তাঁর দলবল আমার উপরে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালান। আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়ির লোকজন বাইরে বেরিয়ে এলে ওরা পালিয়ে যায়।”জখম তৃণমূল কর্মীর আরও দাবি, ওই দলে এলাকার এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রীর স্বামী ছিলেন। তাঁকে মারধরের পরে তাঁর স্ত্রীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই থানায় ঘটনার লিখিত অভিযোগ করবেন তিনি। এ দিন সকালে খাতড়া হাসপাতালে জখম কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন মাহাতো। তিনি বলেন, “কৃষ্ণপদ দলের দীর্ঘদিনের কর্মী। গত লোকসভা ভোটে তাঁর নেতৃত্বেই ধগড়া বুথে আমরা এগিয়ে ছিলাম। তার উপরে এই ধরনের আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। এই কাজ দলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি দলের উপর মহলে জানানো হয়েছে।” বিতর্ক বাড়িয়েছেন রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুম্ভকার। তিনি বলেন, “কী ঘটেছে জানি না। কৃষ্ণপদ তৃণমূলের কর্মী কি না তা-ও জানা নেই।” রানিবাঁধ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি শিশির মাহাতোকে বার বার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। উত্তর মেলেনি বার্তার‌ও। ফোন ধরেননি রানিবাঁধ বিধানসভার বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডিও। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক দুঃখিরানী মুদি বলেন, ওদের কাটমানির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। এমন ঘটনা রানিবাঁধ ব্লকে হামেশাই ঘটে।

তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

মহম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া:– সম্প্রতি বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে রানিবাঁধ ব্লকে তৃণমূলের ঐক্যবদ্ধ ছবি দেখা গিয়েছিল। সেই রানিবাঁধে এ বার এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই এক যুবনেতার বিরুদ্ধে। রানিবাঁধের ধগড়া গ্রামের তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণপদ মাহাতো জখম অবস্থায় রবিবার রাতে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার হাসপাতালে শুয়ে তিনি বলেন, “রবিবার রাতে হঠাৎই আমাদের ব্লকের, আমাদের দলেরই এক যুব নেতা আমাকে বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে বলেন। বাইরে বেরোতেই তিনি ও তাঁর দলবল আমার উপরে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালান। আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়ির লোকজন বাইরে বেরিয়ে এলে ওরা পালিয়ে যায়।”জখম তৃণমূল কর্মীর আরও দাবি, ওই দলে এলাকার এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রীর স্বামী ছিলেন। তাঁকে মারধরের পরে তাঁর স্ত্রীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই থানায় ঘটনার লিখিত অভিযোগ করবেন তিনি। এ দিন সকালে খাতড়া হাসপাতালে জখম কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন মাহাতো। তিনি বলেন, “কৃষ্ণপদ দলের দীর্ঘদিনের কর্মী। গত লোকসভা ভোটে তাঁর নেতৃত্বেই ধগড়া বুথে আমরা এগিয়ে ছিলাম। তার উপরে এই ধরনের আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। এই কাজ দলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি দলের উপর মহলে জানানো হয়েছে।” বিতর্ক বাড়িয়েছেন রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুম্ভকার। তিনি বলেন, “কী ঘটেছে জানি না। কৃষ্ণপদ তৃণমূলের কর্মী কি না তা-ও জানা নেই।” রানিবাঁধ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি শিশির মাহাতোকে বার বার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। উত্তর মেলেনি বার্তার‌ও। ফোন ধরেননি রানিবাঁধ বিধানসভার বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডিও। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক দুঃখিরানী মুদি বলেন, ওদের কাটমানির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। এমন ঘটনা রানিবাঁধ ব্লকে হামেশাই ঘটে।