মাতৃ বন্দনা জগদ্ধাত্রী সম্মান

ঋদ্ধি ভট্টাচার্য, কলকাতা:– বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বন এবং তার মধ্যে দুর্গা ও কালীপুজোর শেষ লগ্নে বহু বাঙালি মেতে উঠেছেন জগদ্ধাত্রী পুজোয়।
জগদ্ধাত্রী পুজো মূলত দুটি কারণে শুরু হয়েছিল: একটি পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, করিন্দ্রাসুর নামে এক অসুরকে বধ করতে দেবী মহামায়া জগদ্ধাত্রী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অন্য একটি প্রচলিত ইতিহাস অনুসারে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়
তিনি নবাবের কাছে বন্দি ছিলেন এবং দুর্গাপূজার পর মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। ফটো ভিশোন আর্ট ক্রিয়েশন একটি ফটোগ্রাফিক সংস্থা যেটি প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার শ্রী সন্দীপ পাইনের তত্ত্বাবধানে ও ফ্যাশন অফ ড্রিমস এর পক্ষ থেকে অরিন্দম ব্যানার্জি সাথে চন্দননগর ও মানকুন্ডুর বিভিন্ন পূজোকে সম্মানিত করা হয়। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রসাধনী শিল্পী সুস্মিতা মিত্র।
মানকুন্ড সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি জিতে নেন শ্রেষ্ঠ মন্ডপ বিভাগে। এই পুজোর সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় কর্মকার জানান তাদের পুজো এই বছর ৫৯ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। তাদের এ বছরের থিম বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরা এবং সেই ঐতিহ্য একসময় মৃৎশিল্পীদের কাজের মারফত উঠে আসতো। মাটির ঘড়া বা জালা যেমন বিলুপ্তরপথে ঠিক তেমনি টেরাকোটার কাজও আজ খুব কমই মানুষজনের চোখে পড়ে। এমন ভাবেই প্রাচীন ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরলেন এই কমিটি। নিয়োগী বাগান নব বালক সংঘ পুরস্কৃত হল শ্রেষ্ঠ ভাবনার জন্য।
শ্রেষ্ঠ প্রতিমায় পুরস্কার পান বেশোহাটা সর্বজনীন পূজা কমিটি। এই ক্লাবের সেক্রেটারি শ্রী বারিন দত্তের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের এ বছরের থিম চন্দননগর স্বাধীনতায় ৭৫ বছর। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও মূলত ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীন হলেও এই অঞ্চলটি ফরাসি অর্থাৎ ফ্রান্সদের দখলে ছিল ১৯৫০ অবধি এবং এখানকার আগের নাম ছিল ফরাসশডাঙ্গা। এখানে তারা এই জায়গা গ্রাম থেকে শহরে পরিণত হওয়াকেই দেখানো হয়েছে। সর্বশেষে শ্রেষ্ঠ পরিবেষের পুরস্কার গ্রহণ করেন দৈবিক পাড়া সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটি। এই সর্বজনীন পুজোর সেক্রেটারি শ্রী সুজয় গুহ মল্লিক জানান তাদের থিম রঙ্গরেখা আবাহ। তারা মূলত পরিবেশকে রক্ষা করার কাজ এবং পরিবেশ জিনিসকে ফুটিয়ে তোলেন এই মন্ডপে সজ্জা মারফত। সার্কাস মাঠ জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি সেরার-সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয় ভাবনার উপর। এই ক্লাবে প্রেসিডেন্ট শ্রী রতন ঘোষ বলেন এ বছর তাদের ক্লাব ৫৫ বছরে পদারপন করলো এবং তাদের মূল থিম কাল্পনিক মন্দির।

মাতৃ বন্দনা জগদ্ধাত্রী সম্মান

ঋদ্ধি ভট্টাচার্য, কলকাতা:– বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বন এবং তার মধ্যে দুর্গা ও কালীপুজোর শেষ লগ্নে বহু বাঙালি মেতে উঠেছেন জগদ্ধাত্রী পুজোয়।
জগদ্ধাত্রী পুজো মূলত দুটি কারণে শুরু হয়েছিল: একটি পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, করিন্দ্রাসুর নামে এক অসুরকে বধ করতে দেবী মহামায়া জগদ্ধাত্রী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অন্য একটি প্রচলিত ইতিহাস অনুসারে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়
তিনি নবাবের কাছে বন্দি ছিলেন এবং দুর্গাপূজার পর মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। ফটো ভিশোন আর্ট ক্রিয়েশন একটি ফটোগ্রাফিক সংস্থা যেটি প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার শ্রী সন্দীপ পাইনের তত্ত্বাবধানে ও ফ্যাশন অফ ড্রিমস এর পক্ষ থেকে অরিন্দম ব্যানার্জি সাথে চন্দননগর ও মানকুন্ডুর বিভিন্ন পূজোকে সম্মানিত করা হয়। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রসাধনী শিল্পী সুস্মিতা মিত্র।
মানকুন্ড সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি জিতে নেন শ্রেষ্ঠ মন্ডপ বিভাগে। এই পুজোর সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় কর্মকার জানান তাদের পুজো এই বছর ৫৯ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। তাদের এ বছরের থিম বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরা এবং সেই ঐতিহ্য একসময় মৃৎশিল্পীদের কাজের মারফত উঠে আসতো। মাটির ঘড়া বা জালা যেমন বিলুপ্তরপথে ঠিক তেমনি টেরাকোটার কাজও আজ খুব কমই মানুষজনের চোখে পড়ে। এমন ভাবেই প্রাচীন ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরলেন এই কমিটি। নিয়োগী বাগান নব বালক সংঘ পুরস্কৃত হল শ্রেষ্ঠ ভাবনার জন্য।
শ্রেষ্ঠ প্রতিমায় পুরস্কার পান বেশোহাটা সর্বজনীন পূজা কমিটি। এই ক্লাবের সেক্রেটারি শ্রী বারিন দত্তের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের এ বছরের থিম চন্দননগর স্বাধীনতায় ৭৫ বছর। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও মূলত ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীন হলেও এই অঞ্চলটি ফরাসি অর্থাৎ ফ্রান্সদের দখলে ছিল ১৯৫০ অবধি এবং এখানকার আগের নাম ছিল ফরাসশডাঙ্গা। এখানে তারা এই জায়গা গ্রাম থেকে শহরে পরিণত হওয়াকেই দেখানো হয়েছে। সর্বশেষে শ্রেষ্ঠ পরিবেষের পুরস্কার গ্রহণ করেন দৈবিক পাড়া সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটি। এই সর্বজনীন পুজোর সেক্রেটারি শ্রী সুজয় গুহ মল্লিক জানান তাদের থিম রঙ্গরেখা আবাহ। তারা মূলত পরিবেশকে রক্ষা করার কাজ এবং পরিবেশ জিনিসকে ফুটিয়ে তোলেন এই মন্ডপে সজ্জা মারফত। সার্কাস মাঠ জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি সেরার-সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয় ভাবনার উপর। এই ক্লাবে প্রেসিডেন্ট শ্রী রতন ঘোষ বলেন এ বছর তাদের ক্লাব ৫৫ বছরে পদারপন করলো এবং তাদের মূল থিম কাল্পনিক মন্দির।