স্থানীয়দের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে রক্তাক্ত হলো হুলা পার্টির দুই সদস্য

মহম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া :- সোনামুখীতে এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে হাতি নিয়ে যেতেগিয়ে হাতির গতিপথে বাধা স্থানীয়দের, এরপর স্থানীয়দের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে রক্তাক্ত হলো হুলা পার্টির দুই সদস্য, ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ।রাতে লোকালয় থেকে বুনো হাতি তাড়াতে গিয়ে স্থানীয়দের দ্বারা আক্রান্ত হলেন সোনামুখীর হুলাপার্টির সদস্যরা। রাতে বনকর্মীরা হুলাপার্টিদের সঙ্গে নিয়ে সোনামুখী রেঞ্জের বাঁশকুলে এলাকায় হাতি তাড়ানোর কাজে যান। জানা যায় ওই সময় এলাকা থেকে দ্রুত হাতি তাড়ানোর দাবি তুললে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বনকর্মীদের বচসা বাঁধে। তখনই কয়েকজন বাসিন্দা হুলাপার্টির সদস্যদের উপর উপর চড়াও হয়। এবং তাঁদেরকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাথরের আঘাতে সহদেব লোহার নামে হুলাপার্টির এক সদস্য গুরুতর জখম হন। তাঁকে সোনামুখী ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হুলা পার্টির আরেক আহত সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিস এলাকায় গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম মিঠু মাণ্ডি ও চন্দ্র মাণ্ডি। দু’জনেরই বাড়ি বাঁশকুলে গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে, বনকর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
বনদপ্তরের সোনামুখীর রেঞ্জার বিট অফিসার ইদ্রিস সরকার বলেন, ধানশিমলার জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে সাতটি হাতির একটি দলকে নিয়ে যাচ্ছিল বনদপ্তরের হুলা পার্টিরা। সেই সময় বাঁশকুলে গ্রামের বাসিন্দারা হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে হঠাৎ করে চড়াও হয় হুলা পার্টির সদস্যদের ওপর। ঘটনায় আহত হয় দুই হুলা পার্টির কর্মী।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বাঁকুড়া জেলায় মোট ৬৬টি বুনো হাতি রয়েছে। তার মধ্যে বড়জোড়া রেঞ্জের সাহারাজোড়ায় ৫৮টি, গঙ্গাজলঘাটির রাধুরবাইদে ১টি এবং পাত্রসায়ের রেঞ্জের চক পাত্রসায়েরের ৭টি রয়েছে। ৭টি হাতির দলটিকে বুধবার রাতে সোনামুখী হয়ে বিষ্ণুপুরের দিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। সেই সময় বাঁশকুলে এলাকার উপর দিয়ে হাতিগুলো যাওয়ার সময় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করে স্থানীয়রা তাতে বাধা দেন। তখনই হুলাপার্টির সদস্যদের সঙ্গে বাসিন্দাদের বচসা বাঁধে। তারপরেই চড়াও হয়ে হুলাপার্টির সদস্যদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয়দের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে রক্তাক্ত হলো হুলা পার্টির দুই সদস্য

মহম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া :- সোনামুখীতে এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে হাতি নিয়ে যেতেগিয়ে হাতির গতিপথে বাধা স্থানীয়দের, এরপর স্থানীয়দের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে রক্তাক্ত হলো হুলা পার্টির দুই সদস্য, ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ।রাতে লোকালয় থেকে বুনো হাতি তাড়াতে গিয়ে স্থানীয়দের দ্বারা আক্রান্ত হলেন সোনামুখীর হুলাপার্টির সদস্যরা। রাতে বনকর্মীরা হুলাপার্টিদের সঙ্গে নিয়ে সোনামুখী রেঞ্জের বাঁশকুলে এলাকায় হাতি তাড়ানোর কাজে যান। জানা যায় ওই সময় এলাকা থেকে দ্রুত হাতি তাড়ানোর দাবি তুললে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বনকর্মীদের বচসা বাঁধে। তখনই কয়েকজন বাসিন্দা হুলাপার্টির সদস্যদের উপর উপর চড়াও হয়। এবং তাঁদেরকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাথরের আঘাতে সহদেব লোহার নামে হুলাপার্টির এক সদস্য গুরুতর জখম হন। তাঁকে সোনামুখী ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হুলা পার্টির আরেক আহত সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিস এলাকায় গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম মিঠু মাণ্ডি ও চন্দ্র মাণ্ডি। দু’জনেরই বাড়ি বাঁশকুলে গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে, বনকর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
বনদপ্তরের সোনামুখীর রেঞ্জার বিট অফিসার ইদ্রিস সরকার বলেন, ধানশিমলার জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে সাতটি হাতির একটি দলকে নিয়ে যাচ্ছিল বনদপ্তরের হুলা পার্টিরা। সেই সময় বাঁশকুলে গ্রামের বাসিন্দারা হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে হঠাৎ করে চড়াও হয় হুলা পার্টির সদস্যদের ওপর। ঘটনায় আহত হয় দুই হুলা পার্টির কর্মী।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বাঁকুড়া জেলায় মোট ৬৬টি বুনো হাতি রয়েছে। তার মধ্যে বড়জোড়া রেঞ্জের সাহারাজোড়ায় ৫৮টি, গঙ্গাজলঘাটির রাধুরবাইদে ১টি এবং পাত্রসায়ের রেঞ্জের চক পাত্রসায়েরের ৭টি রয়েছে। ৭টি হাতির দলটিকে বুধবার রাতে সোনামুখী হয়ে বিষ্ণুপুরের দিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। সেই সময় বাঁশকুলে এলাকার উপর দিয়ে হাতিগুলো যাওয়ার সময় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করে স্থানীয়রা তাতে বাধা দেন। তখনই হুলাপার্টির সদস্যদের সঙ্গে বাসিন্দাদের বচসা বাঁধে। তারপরেই চড়াও হয়ে হুলাপার্টির সদস্যদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।