মহম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া:– বাঁকুড়া জেলা পাত্রসায় থানার ঘোড়াডাঙ্গা গ্রাম। মূলত কৃষি প্রধান এই গ্রামে এলাকার কৃষকরা ২০০০ সালে উদ্যোগ নেয় গ্রামের সর্বজনীন দুর্গাপুজোর। কৃষকদের এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সালে শুরু হয় দুর্গাপুজো। ক্লাবের নাম দেওয়া হয় ঘোড়াডাঙ্গা বর্তমান ক্লাব। দীর্ঘ ২৪ বছর এলাকার কৃষি পরিবারের থেকে চাঁদা তুলে এই দুর্গা পুজো চালিয়ে আসলেও ২৫ তম বর্ষে অর্থাৎ এবছর অর্থের অভাবে আর এই দুর্গা পুজো করা সম্ভব হচ্ছিল না ক্লাব কর্তৃপক্ষের। কারণ একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্যদিকে দামোদর নদীর তীরবর্তী অবস্থিত এই গ্রাম হওয়ায় ডিভিসির ছাড়া জলে এলাকার কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অর্থের অভাবে এবছর আর দুর্গা আরাধনা বন্ধ হচ্ছিল না এই গ্রামে। *ঠিক তখনই দেবী দশভুজা রূপে এলাকার ৫০ জন মহিলা এগিয়ে আসেন গ্রামের দুর্গাপূজো যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য। তারা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি মাসে তাদের যে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা দিচ্ছেন সেখান থেকেই তারা প্রত্যেকেই এক মাসের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষের মাথায় নেমে আসা গভীর অন্ধকার যেন দশভূজা রূপে এলাকার ৫০ জন মহিলা ক্ষণিকের মধ্যে সাতরঙা রামধনুর মত রঙ্গিন করে তোলেন। আশার আলো দেখে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।* পুনরায় শুরু হয় প্যান্ডেল বাধার কাজ। শুরু হয় মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ। আবারো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় আনন্দ উৎসবে হইহুল্লোড় এবং আলোর রশ্মিতে আলোকিত হয়ে উঠবেন প্রত্যন্ত এই গ্রাম ঘোড়াডাঙ্গা। এলাকার এই ৫০ জন মহিলাকে দেবী রূপের সম্মান জানান ক্লাব কর্তৃপক্ষ।