অভিজিৎ হাজরা,, হাওড়া :- গ্রাম বাংলার বর্ষায় সাপের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় প্রাচীনকাল থেকেই মনসা দেবীর পুজো হয়ে আসছে এক গুরুত্বপূর্ণ আচারে। বিশ্বকর্মা পূজার আগের দিন প্রায় সারা রাত চলে রান্নাবান্না, যা বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের মধ্যে একটি বিশেষ ঐতিহ্য। ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শেষ দিনে ফণিমনসা ডাল বসিয়ে শালুক ফুল দিয়ে ঘট সাজিয়ে পূজা করা হয়। তা রান্না পূজা বা অরন্ধন নামে প্রসিদ্ধ। আর এদিনই উলুবেড়িয়ার হাটগাছা ১ অঞ্চলে বিবেকানন্দ স্বেচ্ছাসেবী সংঘের মা মনসা পূজা অনুষ্ঠিত হলো। এই পূজা শুধু দেবীর আরাধনা নয়, বরং প্রকৃতি ও পরিবেশ সচেতনতার একটি অনন্য উদাহরণও হয়ে উঠল। উপস্থিতদের মধ্যে বিতরণ করা হল ফলের গাছ, যা এলাকার পাখি ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে। মহতী এই অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন বাড়মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বামী সর্বসুখানন্দ মহারাজ। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা শোভানা মন্ডল, শিক্ষক মানস মন্ডল, সমাজসেবী বিষ্ণু মন্ডল ও বিশ্বজিৎ বর্মন, ও সৌরভ মহল।আজকের মনসা পূজা ঐতিহ্য, সামাজিক সম্প্রীতি ও পরিবেশ সচেতনতার এক অনন্য মিলন হয়ে উঠল—প্রতিটি ফলের গাছ, প্রতিটি পাখির ডাক ও উপস্থিত মানুষের অন্তরের ভালোবাসা মিলিয়ে তৈরি করল এক জীবন্ত গল্প। এ প্রসঙ্গে ক্লাবের পক্ষ থেকে সৌরভ মহল বলেন – “বাড়মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতনতার বিষয়ে আজকের অনুষ্ঠানে সর্বাঙ্গিন সহযোগিতা প্রদান করে আমাদের উৎসাহিত করেছেন। আগামীদিনে ওনার সহযোগিতায় আরো পরিবেশের কাজ করব।