খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট: বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে ডুয়ার্সের গড়ুমারা জাতীয় উদ্যান সেজে উঠেছিল এক ভিন্ন মেজাজে। সকাল থেকেই সাজো সাজো রব উদ্যান চত্বরে। একদিকে স্পেশাল মেনু রান্না অন্যদিকে সাজগোজের ব্যস্ততা। এই ব্যস্ততা আর কিছু নয় হাতির পূজার ব্যবস্থা।প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ডুয়ার্সের গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের অন্তর্গত গরুমারা বিট, ধূপঝোড়া বিট এবং বুধুরাম বিটের পিলখানাগুলোতে হাতি পুজো অনুষ্ঠিত হল।তিনটি বিটে মোট ২৯ টি কুনকি হাতিকে পুজো করা হয়।ডুয়ার্সের দক্ষিণ ধূপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে জেনি,হিরালি,শীলাবতী, মাধুরী সহ বন দফতরের মোট ১০ টি পোষ্য কুনকি হাতিদের মালা পরিয়ে, সাজিয়ে পুজো করলেন মাহুত ও বনকর্মীরা।আর সেই পুজো দেখতেই ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসী এবং পর্যটকরা।শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে চলে পুজো। পুরোহিত সমস্ত নিয়মনীতি মেনে, মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজোর কাজ সারেন।পুজো উপলক্ষে এদিন কুনকি হাতিদের জঙ্গল পাহারার কাজ থেকে ছুটি দেওয়া হয়।আর এই হাতি পুজো দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমেছিল ধূপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে ।এই বিশেষ দিনে বন আধিকারিকরা জানান, এই পুজো কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয়, এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রতি বন দফতরের অঙ্গীকারকেও তুলে ধরে। পাশাপাশি, এটি বনকর্মী ও বন্যপ্রাণীদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ভালোবাসার এক প্রতীক।