শিক্ষক দিবস ও মাদার এর প্রয়াণ দিবস উদযাপন ‌

অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়া :- গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা তথা পেঁড়ো থানার অন্তর্গত ” কলতান পাবলিক স্কুল ” ও ” রিমেক মিডিয়া কাউন্সিল ” এর নিবেদন শিক্ষক শ্রদ্ধা, কবিতা পাঠ এবং সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ‌ ” পশ্চিমবঙ্গ আঞ্চলিক সংস্কৃতি পরিষদ ” এর যৌথ সহযোগিতায় রিমেক স্টুডিও তে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর জম্মদিন ৬৪ তম শিক্ষক দিবস এবং এর পাশাপাশি মাদার টেরেসার ২৯ তম প্রয়াণ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল। এই মহতী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই কচিকাঁচা পড়ুয়াদের উপস্থিতি,কলতান,আনন্দ উচ্ছাসে বিদ্যালয় অঙ্গন উৎসব মুখরিত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‌” কলতান পাবলিক স্কুল ” এর শিক্ষিকারা সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন।একক সংগীত পরিবেশন করেন সোমনাথ চক্রবর্তী।” কলতান পাবলিক স্কুল ” ও রিমেক মিডিয়া কাউন্সিল ” এর প্রাণপুরুষ পূর্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ” ভারতরত্ন মাদার টেরেসার আজ ২৯ তম প্রয়াণ দিবস। আজীবন মাদার টেরেসা সমাজসেবায় ব্রতী ছিলেন। মাদার টেরেসার প্রয়াণ দিবসে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হচ্ছে।১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাদার টেরেসা কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ” । পূর্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ” বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই বিভিন্ন দেশ শিক্ষা দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হতে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশে কোনো বিখ্যাত শিক্ষক কিংবা উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জনকে উপলক্ষ করে এই শিক্ষক দিবস পালন করা হয়।যেমন ১১ সেপ্টেম্বর ডোমিনো ফসটিনোসার্মেন্তোর মৃত্যু দিবসে আর্জেন্টিনা শিক্ষক দিবস পালন করে। যদিও ভারত প্রথাগতভাবে হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে আষাঢ় ( জুন – জুলাই) মাসের পূর্ণিমায় গুরুপূর্ণিমা (আধ্যাত্মিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষকদের মঙ্গল কামনায় নিবেদিত ) পালন করে।১৯৬২ সাল থেকে ড . সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণননের জম্মদিন ৫ সেপ্টেম্বর দেশটিতে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে ” । তিনি এও বলেন,” শিক্ষক দিবস হলো শিক্ষকদের সম্মানার্থে পালিত একটি দিবস যা বাংলাদেশ এবং ভারত সহ পৃথিবীর বহু দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে উদযাপিত হয়। এদিন শিক্ষকদের তাদের নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।ভিন্ন ভিন্ন দিনে শিক্ষক দিবস উদযাপিত হলেও অক্টোবর ৫ তারিখ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত শিক্ষক দিবস। শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য হলো , শিক্ষকের জ্ঞান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখানোর ক্ষেত্রে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে স্বীকার করা ও সম্মান জানানো। এই দিনটি সমাজের শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি দেয়, শিক্ষার্থীদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ করে দেয় এবং শিক্ষার রূপান্তরকারী শক্তিকে তুলে ধরে।এটি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণননের জম্মদিন পালন করা হয়। যিনি himself একজন শিক্ষক ছিলেন এবং শিক্ষকদের সম্মানে এই দিনটিকে উৎসর্গ করতে অনুরোধ করেছিলেন। এই দিনটি সমাজের অগ্ৰগতিতে শিক্ষকদের অপরিমেয় এবং মূল্যবান অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং সম্মান জানায় ” । তিনি বলেন, ” আমাদের জীবনে বড় শিক্ষক হলেন মা – বাবা।তারপর সর্বক্ষেত্রের শিক্ষক – শিক্ষিকা। বৎসরের একটা দিন শিক্ষক দিবস নয়। শিক্ষক দিবস প্রতি দিনের। আমরা যদি আমাদের মা – বাবা – কে প্রকৃত সম্মান করি, সর্বস্তরের শিক্ষক – শিক্ষিকাদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করি , মা – বাবা , শিক্ষক – শিক্ষিকাদের দেখানো পথ অনুসরণ করি, তাদের কথা মেনে চলি তবেই হবে শিক্ষক দিবসে শিক্ষক – শিক্ষিকাদের প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন। তিনি এও বলেন , ” শিক্ষক তিনি যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তান ভাবেন, যিনি নিজে আদর্শ হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ হতে শেখান, যিনি নিজেকে ও সমগ্ৰ সমাজকে আদর্শের একসূত্রে বাঁধতে শেখান, যিনি উন্নত শিরে উন্নত চিত্তে উন্নত মননে গোটা সমাজকে উন্নত করার পণে ব্রতী থাকেন, যিনি অন্যায় ও গোঁয়ামীর প্রতিবাদী। ধুতি – শাড়ি যে দিন প্যান্ট – সালোয়ার হয়েছে,বেত যে দিন থেমে গেছে সে দিন থেকেই লুপ্তপ্রায় শিক্ষকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।আর যাঁরা এখনও শিক্ষকের মর্যাদায় অমলিন তাঁদের শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই ” । ‌ ‌ মাদার টেরেসার প্রয়াণ দিবস ও ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণননের জম্মদিন ” কলতান পাবলিক স্কুল ” এর কচিকাঁচা পড়ুয়ারা বক্তব্য,নাচ, গান, আবৃত্তি, নৃত্য , শ্রুতি নাটক ও যোগ শৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে পালন করলো।এর পাশাপাশি অভিভাবিকাদের সংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।” কলতান পাবলিক স্কুল ” এর কচিকাঁচা পড়ুয়ারা কেক কেটে শিক্ষিকাদের তা খাইয়ে ও বিভিন্ন উপহার ঢৌকন দিয়ে শিক্ষিকাদের সম্মান প্রদর্শন করে। এই অনুষ্ঠান থেকে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা শিক্ষা নিল , কৃতজ্ঞতা – মূল্যবোধ -সামাজিকতা, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, সমাজের প্রতি কর্তব্য পালন, পিতা – মাতা ও সর্বক্ষেত্রে শিক্ষক – শিক্ষিকাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া ও সম্মান প্রদর্শন করা, সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমে নিজেকে প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা ‌।

শিক্ষক দিবস ও মাদার এর প্রয়াণ দিবস উদযাপন ‌

অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়া :- গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা তথা পেঁড়ো থানার অন্তর্গত ” কলতান পাবলিক স্কুল ” ও ” রিমেক মিডিয়া কাউন্সিল ” এর নিবেদন শিক্ষক শ্রদ্ধা, কবিতা পাঠ এবং সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ‌ ” পশ্চিমবঙ্গ আঞ্চলিক সংস্কৃতি পরিষদ ” এর যৌথ সহযোগিতায় রিমেক স্টুডিও তে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর জম্মদিন ৬৪ তম শিক্ষক দিবস এবং এর পাশাপাশি মাদার টেরেসার ২৯ তম প্রয়াণ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল। এই মহতী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই কচিকাঁচা পড়ুয়াদের উপস্থিতি,কলতান,আনন্দ উচ্ছাসে বিদ্যালয় অঙ্গন উৎসব মুখরিত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‌” কলতান পাবলিক স্কুল ” এর শিক্ষিকারা সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন।একক সংগীত পরিবেশন করেন সোমনাথ চক্রবর্তী।” কলতান পাবলিক স্কুল ” ও রিমেক মিডিয়া কাউন্সিল ” এর প্রাণপুরুষ পূর্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ” ভারতরত্ন মাদার টেরেসার আজ ২৯ তম প্রয়াণ দিবস। আজীবন মাদার টেরেসা সমাজসেবায় ব্রতী ছিলেন। মাদার টেরেসার প্রয়াণ দিবসে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হচ্ছে।১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাদার টেরেসা কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ” । পূর্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ” বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই বিভিন্ন দেশ শিক্ষা দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হতে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশে কোনো বিখ্যাত শিক্ষক কিংবা উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জনকে উপলক্ষ করে এই শিক্ষক দিবস পালন করা হয়।যেমন ১১ সেপ্টেম্বর ডোমিনো ফসটিনোসার্মেন্তোর মৃত্যু দিবসে আর্জেন্টিনা শিক্ষক দিবস পালন করে। যদিও ভারত প্রথাগতভাবে হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে আষাঢ় ( জুন – জুলাই) মাসের পূর্ণিমায় গুরুপূর্ণিমা (আধ্যাত্মিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষকদের মঙ্গল কামনায় নিবেদিত ) পালন করে।১৯৬২ সাল থেকে ড . সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণননের জম্মদিন ৫ সেপ্টেম্বর দেশটিতে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে ” । তিনি এও বলেন,” শিক্ষক দিবস হলো শিক্ষকদের সম্মানার্থে পালিত একটি দিবস যা বাংলাদেশ এবং ভারত সহ পৃথিবীর বহু দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে উদযাপিত হয়। এদিন শিক্ষকদের তাদের নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।ভিন্ন ভিন্ন দিনে শিক্ষক দিবস উদযাপিত হলেও অক্টোবর ৫ তারিখ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত শিক্ষক দিবস। শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য হলো , শিক্ষকের জ্ঞান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখানোর ক্ষেত্রে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে স্বীকার করা ও সম্মান জানানো। এই দিনটি সমাজের শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি দেয়, শিক্ষার্থীদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ করে দেয় এবং শিক্ষার রূপান্তরকারী শক্তিকে তুলে ধরে।এটি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণননের জম্মদিন পালন করা হয়। যিনি himself একজন শিক্ষক ছিলেন এবং শিক্ষকদের সম্মানে এই দিনটিকে উৎসর্গ করতে অনুরোধ করেছিলেন। এই দিনটি সমাজের অগ্ৰগতিতে শিক্ষকদের অপরিমেয় এবং মূল্যবান অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং সম্মান জানায় ” । তিনি বলেন, ” আমাদের জীবনে বড় শিক্ষক হলেন মা – বাবা।তারপর সর্বক্ষেত্রের শিক্ষক – শিক্ষিকা। বৎসরের একটা দিন শিক্ষক দিবস নয়। শিক্ষক দিবস প্রতি দিনের। আমরা যদি আমাদের মা – বাবা – কে প্রকৃত সম্মান করি, সর্বস্তরের শিক্ষক – শিক্ষিকাদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করি , মা – বাবা , শিক্ষক – শিক্ষিকাদের দেখানো পথ অনুসরণ করি, তাদের কথা মেনে চলি তবেই হবে শিক্ষক দিবসে শিক্ষক – শিক্ষিকাদের প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন। তিনি এও বলেন , ” শিক্ষক তিনি যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তান ভাবেন, যিনি নিজে আদর্শ হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ হতে শেখান, যিনি নিজেকে ও সমগ্ৰ সমাজকে আদর্শের একসূত্রে বাঁধতে শেখান, যিনি উন্নত শিরে উন্নত চিত্তে উন্নত মননে গোটা সমাজকে উন্নত করার পণে ব্রতী থাকেন, যিনি অন্যায় ও গোঁয়ামীর প্রতিবাদী। ধুতি – শাড়ি যে দিন প্যান্ট – সালোয়ার হয়েছে,বেত যে দিন থেমে গেছে সে দিন থেকেই লুপ্তপ্রায় শিক্ষকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।আর যাঁরা এখনও শিক্ষকের মর্যাদায় অমলিন তাঁদের শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই ” । ‌ ‌ মাদার টেরেসার প্রয়াণ দিবস ও ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণননের জম্মদিন ” কলতান পাবলিক স্কুল ” এর কচিকাঁচা পড়ুয়ারা বক্তব্য,নাচ, গান, আবৃত্তি, নৃত্য , শ্রুতি নাটক ও যোগ শৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে পালন করলো।এর পাশাপাশি অভিভাবিকাদের সংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।” কলতান পাবলিক স্কুল ” এর কচিকাঁচা পড়ুয়ারা কেক কেটে শিক্ষিকাদের তা খাইয়ে ও বিভিন্ন উপহার ঢৌকন দিয়ে শিক্ষিকাদের সম্মান প্রদর্শন করে। এই অনুষ্ঠান থেকে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা শিক্ষা নিল , কৃতজ্ঞতা – মূল্যবোধ -সামাজিকতা, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, সমাজের প্রতি কর্তব্য পালন, পিতা – মাতা ও সর্বক্ষেত্রে শিক্ষক – শিক্ষিকাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া ও সম্মান প্রদর্শন করা, সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমে নিজেকে প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা ‌।