হীরক মুখোপাধ্যায় (৬ জুন ‘২২):- ‘মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল’-এর সাথে গাঁটছড়া বাঁধল ক্লাউডফিজিসিয়ান।
আজ কোলকাতা প্রেস ক্লাবে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে দুই সংস্থার পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য পরিবেশন করা হয়।
বলা হচ্ছে, এই সংযুক্তিকরণের মধ্যে পূর্ব ভারতের গণ্ডগ্রামের জনগণও লাভবান হবেন।
ক্লাউডফিজিসিয়ান হচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর এমন এক সংস্থা যারা ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’ বিষয়কে পাখির চোখ করে উন্নতির শীর্ষে ওঠার চেষ্টা করে চলেছে। অপরদিকে ‘মেডিকা’ নিজেদের সম্পর্কে বলে থাকে- পূর্ব ভারতে তারাই ব্যক্তিগত মালিকানাধীনে থাকা বৃহত্তম হাসপাতাল শৃঙ্খল।
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি-তে ‘মেডিকা নর্থ বেঙ্গল ক্লিনিক’ (এমএনবিসি) নামে ২০০৮ সালে পথচলা শুরু করে।
পরে ২০১০ সালে কোলকাতায় তৈরী হয় ‘মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল’। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, বিহার ও অসম-এও এদের শাখা আছে।
আজ যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ‘ক্লাউডফিজিসিয়ান’-এর পক্ষ থেকে সহ প্রতিষ্ঠাতা তথা স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রধান (সিওএইচ) ডাঃ দিলীপ রমন বলেন, “এই মুহুর্তে সমগ্র ভারতে আইসিইউ-তে শয্যা রয়েছে কমবেশি ৩ লাখ অথচ পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও পরিষেবিকা মিলিয়ে রয়েছেন কমবেশি ৪,৫০০ জন। যা একেবারেই অপ্রতুল। এই অবস্থায় যদি প্রযুক্তির সহায়তা না নেওয়া যায়, তাহলে দেশ বা রাজ্য যেমন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে তেমনই সাধারণ মানুষও তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক মৌলিক পরিষেবা হারাবে।
পূর্ব ভারতের একেবারে গণ্ডগ্রামগুলোতেও যাতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার পরিষেবা সময় মতো ও সুলভে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যেই আমরা ‘মেডিকা’-র সাথে হাত মিলিয়েছি।”
অন্যদিকে সাংবাদিকদের সাথে কথা প্রসঙ্গে ‘মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল’-এর কনসালট্যান্ট ডাঃ অভিরাল রায় জানান, “এটা মূলতঃ একটা প্রযুক্তিগত বিষয়। যদি কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের দ্রুত সুস্থতার জন্য আমাদের থেকে এই পরিষেবা নিতে চান, তাহলে ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’ পরিষেবার অধীনে কোনো রোগীকে ভর্তি করা হলে এই বিশেষ সফটওয়্যার-এর মাধ্যমে রোগীর প্রতি মুহূর্তের বা বিশেষ মুহুর্তের খবর (রোগীর রক্তচাপ ইত্যাদি ইত্যাদি) আমাদের মনিটরিং সেলে জানাতে হবে। মনিটরিং সেল থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’-এর অধীনে ভর্তি রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত উচিত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেবেন। রোগী যদি সময় মতো এই পরিষেবা পেয়ে যান তাহলে রোগীকে ভেন্টিলেশনে যেতে হবেনা, ফলে একদিকে যেমন রোগীর পরিবারের খরচ অনেক সাশ্রয় হবে, তেমনই স্বর্ণালী মুহুর্তে উপযুক্ত পরিষেবা পাওয়ার ফলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন।”