হীরক মুখোপাধ্যায় (৩১ মে ‘২২):– “বিমান, দূরপাল্লার বাতানুকূল ট্রেন, মল, মাল্টিপ্লেক্স সহ একাধিক স্থানে বিনা বাঁধায় স্বচ্ছন্দে খাওয়ার সুবিধা থাকার জন্য অধিকাংশ ধূমপায়ীরা এখন বিড়ি, সিগারেট, চুরুট-এর মতো ধোঁয়া উৎপাদনকারী তামাকজাত পদার্থ ছেড়ে গুটখা, জর্দা-র মতো একাধিক অন্যান্য ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত সামগ্রীর উপর দ্রুত আসক্ত হয়ে পড়ছেন,” বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন ‘নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল’-এর বারাসাত শাখার ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সুনন্দন সিকদার।
‘বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস’-এর উপর নিজের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে ডাঃ সিকদার আরো জানান, “ধোঁয়া উৎপাদনে অক্ষম তামাকজাত সামগ্রীগুলো, ধোঁয়া উৎপাদনে সক্ষম তামাকজাত পদার্থের মতো কমবেশি একইরকম ক্ষতিকারক হওয়ার ফলে নেশাড়ু ও তাঁদের পাশে থাকা মানুষদের বিপদের সম্ভবনা ষোলোআনাই থেকে যাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ নিজেরা সচেতন না হবেন, ততক্ষণ এই পৃথিবী তামাকজাত পদার্থের হানিকর প্রভাব থেকে কোনোভাবেই মুক্তি পাবেনা।”
‘বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস’-এ নেশা মুক্তির পরামর্শ কার্যক্রম (ডি-এডিকশন কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম)-কে সামনে রেখে হাসপাতালের এমআরআই বিল্ডিংয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ধূমপান ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা চিকিৎসক, সেবানিবৃত্ত বিচারক, সাংবাদিক, প্রাক্তন পৌরপ্রতিনিধি সহ বেশ কিছু ব্যক্তিকে সংবর্ধিত করল ‘নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল’ ও ‘প্রান্তকথা’ কর্তৃপক্ষ।
‘নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল’ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রান্তকথা’-র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে হাসপাতালের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ সুনন্দন সিকদার এম ডি, ডি এম (কার্ডিওলজি) এফ এ সি সি এবং ডাঃ অভ্রদীপ দাস এম ডি (পালমোলজি)। অপরদিকে হাসপাতাল প্রশাসনের তরফে উপস্থিত ছিলেন ফেসিলিটি ডিরেক্টর শুভাশিস ভট্টাচার্য ও ‘প্রান্তকথা’-র প্রতিনিধি বাপ্পাদিত্য মুখার্জী সহ একাধিক ব্যক্তি।