হীরক মুখোপাধ্যায় (৫ মে ‘২২):- আহমেদাবাদের বিখ্যাত ‘শালবি হাসপাতাল’ কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, “গত ২৮ বছরে প্রদাহ জনিত কারণে পশ্চিমবঙ্গের ১৫ হাজার রোগীর অস্থিসন্ধী প্রতিস্থাপন করেছে আহমেদাবাদ-এর ‘শালবি হাসপাতাল’।”
আজ ‘শালবি হাসপাতাল’-এর থেকে জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “অস্থিসন্ধী প্রদাহ এবং তৎসংক্রান্ত রোগ নিরাময়ের জন্য ১৯৯৪ সালে আহমেদাবাদে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘শালবি হাসপাতাল’, আজ পর্যন্ত এই হাসপাতাল ১ লাখ ২৫ হাজার রোগীর অস্থিসন্ধী প্রতিস্থাপন করেছে, মোট যত রোগীর অস্থিসন্ধী প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রোগী রয়েছে ১৫ হাজার; শতাকরা হারের বিচারে যা ১২ শতাংশ।”
বলে রাখা ভালো, এই মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা (ভবানীপুর) ও শিলিগুড়ি-তে এই হাসপাতালের দুটো কেন্দ্র রয়েছে। ভবানীপুর শাখায় প্রতি সপ্তাহে একবার আহমেদাবাদ থেকে চিকিৎসকেরা এসে রোগী দেখেন ও পরামর্শ দেন, অপরদিকে শিলিগুড়িতে মাসে একবার করে চিকিৎসকেরা রোগী দেখতে ও পরামর্শ দিতে যান।
প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “১৯৯৪ সালে আহমেদাবাদ-এ মাত্র ৬ শয্যা নিয়ে ‘শালবি হাসপাতাল’-এর পথ চলা শুরু হয়। এই মুহূর্তে ভারতের ৮ টা শহরে ১১ টা মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল চেইন তৈরী করে ফেলেছে এই সংস্থা।”
‘শালবি হসপিটাল চেইন’-এর চেয়ারম্যান তথা ব্যবস্থাপক নির্দেশক ডাঃ বিক্রম শাহ-র বক্তব্য উদ্ধৃত করে সংস্থা জানিয়েছে, “প্রথম বছর অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে আমরা মোট ১৪ টা শল্য চিকিৎসা করেছিলাম, পরের বছর মানে ১৯৯৫ সালে শল্য চিকিৎসা-র সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছিল ১০০, বর্তমানে এই সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেছে।”
‘শালবি হাসপাতাল’-এ অস্থিসন্ধী প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন শল্য চিকিৎসা হলেও “পশ্চিমবঙ্গের অনেক রোগী এই হাসপাতাল থেকে নি (হাঁটু) ও হিপ (পাছা) রিপ্লেসমেন্ট করিয়ে বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন,” বলে হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
‘শালবি হাসপাতাল’-এর তরফ থেকে ডাঃ বিক্রম শাহ (জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জন) জানিয়েছেন, “জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি সম্পর্কে জনমানসে বেশ কিছু অসত্য ধারণা আজও বিশ্বাস আকারে শিক্ষিত সমাজের বুকে জেঁকে বসে আছে।
প্রথম ধারণা :- সমস্ত হাঁটু প্রতিস্থাপন শুধুমাত্র ১০ বছর স্থায়ী হয়।
সত্য :- বর্তমানে সমস্ত হাঁটু প্রতিস্থাপনের মেয়াদ ২০ থেকে ২৫ বছর।
দ্বিতীয় ধারণা :- হাঁটুর অস্ত্রোপচার অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
সত্য :- শূন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামান্য ব্যথায় অস্ত্রোপচার সম্ভব এবং সেটাও ওষুধের মাধ্যমে উপশম করা যায়।
তৃতীয় ধারণা :- বয়স্কদের অস্ত্রোপচার সম্ভব নয়।
সত্য :- শারীরিক সুস্থতা বয়সের থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার প্রধান মাপকাঠি।”