কিছুতেই কথা শুনছিল না তিন বছরের খুদে। খাবার খাইয়ে স্কুলে পাঠানোও যাচ্ছিল না তাকে। তাই রাগের মাথায় কন্যাকে খুনই করে বসলেন সৎ মা! শুক্রবার মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার মোহোল তালুকে ঘটনাটি ঘটেছে।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অভিযুক্ত সৎ মাকে গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়েরা। শেষমেশ অভিযুক্ত তেজস্বিনী কোকানেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের মামলা দায়ের করে শুরু হয় তদন্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে সোলাপুরের বাসিন্দা নাগেশ কোকানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তেজস্বিনীর। তেজস্বিনী ছিলেন নাগেশের দ্বিতীয় স্ত্রী। নাগেশের প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে ছিল। ভাদাভালে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত চার জনের ওই পরিবার।
অভিযোগ, শুক্রবার সকালে নাগেশের ছোট মেয়ে কিছুতেই স্কুলে যেতে চাইছিল না। তাকে খাওয়ানোও যাচ্ছিল না। সেই রাগেই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তেজস্বিনী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মেয়েকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন তেজস্বিনী। ছোট ছোট কারণেও তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হত। তদন্তে সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে নিহত শিশুর দিদির বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
Leave a Reply