রিতা মিস্ত্রি,কোলকাতা: বর্তমান মানবসভ্যতায় সবথেকে মাথা ব্যাথর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাহলো করোনা ভাইরাস বা covid-19। এটিকে শুধু একটি ভাইরাস বলা যায় কি? বলা ভালো মানবগ্রাহি এক মারন ভাইরাস, যার কোপে আজ ভারত তথা গোটা বিশ্বকেই নাজেহাল করে ছেড়েছে । আসুন গোড়া জানা যাক আসলেই এই ভাইরাস টা কি? এর প্রভাবে কী ঘটতে চলেছে?
এই ভাইরাসটি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রয়েছে রহস্য কোথাও বলা হয় এই রহস্যময় ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে চীনের “উহান” (wuhan) নামক শহরের এক bio laboratory তে তৈরি হয়। আবার কোথাও বলা হয়েছে এটি মানব তৈরি ভাইরাস নয়, বাদুরের থেকে তৈরি এই ভাইরাস, আবার বলা হয় এটি একটি বেশ পুরনো ভাইরাস যা কিছু বছর অন্তর পুনঃআর্বিভাব ঘটেছে । ভাইরাস সংক্রমণ কারী রোগীর মূলত জ্বর, ক্লান্তি ভাব ,শুস্ক কাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা যায়। সংক্রামিত 100% এর মধ্যে 80% রোগী চিকিৎসায় সেরে ওঠেন, এবং 20% রোগীর মধ্যে প্রতি 6 জনের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায়। এটি বিশেষত বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ফুসফুস, উচ্চরক্তচাপ এর মত নানা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। যদিও নিম্ন বয়স্করাও ছাড় পায়নি এই ভয়ানক মহামারীর ফলে । ভ্যাকসিন ছাড়া কোন মুক্তির উপায় নেই এর প্রকোপ থেকে ।
তবে সুসংবাদ দিয়েছে ইতালি । সম্প্রতি জানা গেছে ইতালির কিছু গবেষক একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন যা মানব কোষের নোভেল করোনা ভাইরাসের কার্যকলাপকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। রোমে সংক্রমক ব্যাধির জন্য থাকা হাসপাতাল “স্পালানজানি” তে ইঁদুরের ওপর অ্যানিম্যাল ট্রায়াল এ সফলতা লাভ করে। গবেষকদের আশা যে হিউম্যান ট্রায়ালে এটি কাজে দেবে।
তবে একটা প্রশ্নতো থেকেই যায় মহামারীর প্রকোপে গোটা বিশ্ব কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে !
সব জিনিসের কিছু খারাপ ও কিছু ভালো উভয় দিক রয়েছে। দেশ জুড়ে রয়েছে এখন একটাই পরিস্থিতি লকডাউন। করোনার প্রকোপে খসে পড়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সংকটের মুখে রয়েছে নানা ছোট-বড় কোম্পানিগুলি ও বিভিন্ন কারখানা এবং কর্মসংস্থান গুলি। লকডাউন এর ফলে ঝাঁপ পড়েছে কিছু ব্যবসায়ী সংস্থায়। লোকজন নেই দোকান বন্ধ।
“ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি যে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন”। এরমধ্যে খাদ্যাভাব ছাড় দেয়নি মানবসমাজকে। কাজকর্ম অচল হয়ে পড়ায় কর্ম বহিষ্কার হয়েছে বহু শ্রমিক ও বিভিন্ন পদস্থ কর্মচারী। রোজগার নেই ফলে ভাঁড়ারে টান পড়েছে বহু মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারে। এর ফলে মাথায় হাত পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের।
বিশ্বের চেহারাও হয়ে উঠেছে খুব মর্মান্তিক। ইতালি তথা আমেরিকা এই শক্তিশালী দেশকেও মৃত্যুর চাদরে ঢেকে দিয়েছে এই covid-19।
সবার মনে একটাই প্রশ্ন আকাশছোঁয়া উন্নতির সভ্যতায় এ কোন যুগের আবির্ভাব হলো। যে সভ্যতার অন্তরে গোটা পৃথিবীটা ধোঁয়ার পৃথিবীতে পরিপূর্ণ হয়েছিল চারিদিকের দূষণ আর দূষণ। আজ সেই কালো আকাশটাও তার রূপ পেয়েছে যেন।
আজ গোটা পৃথিবী এগিয়ে এসেছে শুধুমাত্র covid-19 বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রতিষেধক তৈরি করা ও করোনা ভাইরাস কে নিস্ক্রিয় করা।।