নিউজ ডেস্কঃ ধসের কারণে ফের যান চলাচল বন্ধ করা হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার রাত থেকেই উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং সমতলে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকালে তিস্তাবাজার সংলগ্ন তারখোলার কাছে জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নামে। ভাঙা অংশ তলিয়ে যায় পাশ দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদীতে। অন্য দিকে, শনিবার দুপুরে কালিম্পং জেলার ঋষিখোলাতে ৭১৭এ জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। পাহাড়ের উপর থেকে একের পর এক পাথর, বোল্ডার পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা রাস্তা।
ধস নামার পরেই তড়িঘড়ি ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে সড়কপথে শিলিগুড়ি এবং সিকিমের মধ্যে সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিকল্প উপায় হিসাবে ঘুরপথে লাভা এবং গরুবাথান হয়ে সিকিম যাচ্ছে গাড়িগুলি। প্রশাসনের তরফেও তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় পণ্যবাহী যান চলাচলের জন্য জাতীয় সড়ক ৭১৭এ-র উপর নির্ভর করছিল সিকিম। কিন্তু দুপুরের বিকল্প সেই পথও বন্ধ হয়ে গেল। তবে কালিম্পং হয়ে এখনও সিকিম যাওয়ার বেশ কয়েকটি রাস্তা খোলা রয়েছে।
কিন্তু শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ও কালিম্পং যাওয়ার জন্য প্রধান রাস্তাই হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই রাস্তাকে তাই সিকিমের ‘লাইফলাইন’ বলা হয়ে থাকে। শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, পর্যটক এবং সেনাবাহিনীর কাছেও এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সচরাচর ওই জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ছোট-বড় ধস থাকলেও তা তৎক্ষণাৎ সারিয়ে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ বার রাস্তার বড় অংশ ফুঁসতে থাকা তিস্তায় তলিয়ে যাওয়ায় আপাতত ক’দিন ওই জাতীয় সড়ক বন্ধই থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হবে যাত্রীদের।
Leave a Reply