অর্পিতা সিনহা,বাঁকুড়া:সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলে প্রতিদিন নজরে পড়ছে নারী নির্যাতনের সংবাদ। কোথাও তার সম্মানহানি হচ্ছে রাস্তাতেই সকলের সামনে, আবার কোথায়ও বন্ধ ঘরে পরিবারের লোকেদের কাছে।রাত বা দিন কোনো সময়েই যে এই দেশের মেয়েরা নিরাপদ নয় তা প্রতিদিনের ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে। কিছু সংখ্যক পুরুষ হায়নার মতো নখ দন্ত বার করে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে নারীকে ।এই হায়নার হাত থেকে ছাড় পাচ্ছে না শিশু থেকে শুরু করে আশি বছরের বৃদ্ধাও।বেঙ্গালুরু ,মুম্বাই,কাঠুয়া, হায়দ্রাবাদ ,উন্নাও, মধ্যমগ্রাম আরো অনেক জায়গার নারীদের প্রতি অত্যাচারের কান্না মিশে যাচ্ছে আমাদের সভ্যসমাজের উজ্জ্বল আলোয়। সভ্যতার উন্নতি হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমরা আলোর দিকে না গিয়ে ক্রমশ অন্ধকারের দিকে তলিয়ে যাচ্ছি।কর্মক্ষেত্রে প্রায় সর্বত্র আজ মেয়েরা যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। অথচ সাধারণ মানুষের রোজকার জীবনের অভিজ্ঞতা ,সংবাদপত্রের হেডলাইন ও বিভিন্ন সমীক্ষা রিপোর্ট প্রমাণ করছে তথাকথিত ‘আধুনিক ‘পৃথিবীতে মেয়েরা নিদারুন বৈষম্য ও অবহেলার শিকার।
সমাজ সভ্যতার অগ্রগতির গতি ম্লান করে দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে ধর্ষণ ,ভ্রুণ হত্যা ,বধূ নির্যাতনের মতো নারী নির্যাতনের ঘটনা। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো এই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নারী সুরক্ষার কি কোন উপায় নেই? এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও কি নারী,পুরুষ শাসিত সমাজের কাছে পদদলিত হবে?
নারী সুরক্ষা নিয়ে ভারতীয় সংবিধানের নানা আইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নানান উদ্যোগ নিয়েছে নানা প্রকল্প রুপায়নের জন্য যাতে নারীরা সুরক্ষা পায়।কিন্তু শুধুমাত্র আইন, প্রকল্প রুপায়ন ও পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিছক কেতাবি বিষোদগার নারী নির্যাতন বন্ধ করতে পারে না। নারী-পুরুষের সম্মিলিত চেষ্টাই নারীকে সমাজের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা দিতে পারে ।
নারী সুরক্ষার নিরিখে ভারতের বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যেমন দিল্লিতে চলন্ত গাড়িতে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে ট্যাক্সিতে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । তাতে আছে’ চাইল্ড লক’ খোলার পদ্ধতির বিবরণমূলক স্টিকার।যে গাড়িতে এই স্টিকার থাকবে না সেই গাড়ি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারবে না।সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সরকারি নারী সুরক্ষা প্রকল্পের কথা যা ‘স্মার্ট সিটি মিশন’ নামে পরিচিত।
নারী নির্যাতনের নিরিখে ভারতবর্ষে প্রতি ১৩ মিনিটে ১জন করে নারী নির্যাতিত হয়।এই নির্যাতন বন্ধ করতে হলে:
১)অপরাধীদের সনাক্ত করে কঠিন শাস্তি প্রদান করতে হবে।
২)বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যাপক হারে সিসি টিভি লাগাতে হবে।
৩)কঠোর আইন প্রণয়ণ করে পর্ণোগ্রাফি সাইট বন্ধ করতে হবে।
৪) বিভিন্ন যাতায়াতের জায়গায় নিশ্চিত নিরাপত্তা প্রদান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৪) নারীদের কেও আত্মরক্ষার কৌশল শিখে রাখতে হবে।রাস্তায় হাঁটার সময় নির্জন ও পরিত্যক্ত স্থান পরিত্যাগ করতে হবে।
৫)বিপদের সময় যাতে পরিবারের লোককে জানানো যায় তাই মোবাইল ফোনে কোর্ড ওয়ার্ড রাখা জরুরী।
৬)কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরতে দেরী হলে পরিবারের লোককে পারলে সঙ্গে রাখতে হবে।
৭)সর্বপোরি পুরুষরা যদি নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসাবে না দেখে,তাদের মতোই মানুষ হিসাবে দেখে তাহলে হয়তো এই নারী নির্যাতন বন্ধ হতে পারে।
৮)এছাড়াও নারীকে আত্মরক্ষার জন্য শারীরিক বা মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।
At this moment I am ready
to do my breakfast, afterward having my
breakfast coming yet
again to read more news.
Vennligst poste oftere siden jeg faktisk liker artiklene dine.
Takk!
Great blog right here!
Additionally your site a lot up fast!
What web host are you the usage of?
Can I get your associate hyperlink on your
host? I want my web site loaded up as fast as yours lol