হীরক মুখোপাধ্যায় (২৪ ফেব্রুয়ারী ‘২১):- কোরোনা অতিমারীর কষাঘাতে দীর্ঘদিন জর্জরিত হওয়ার পর আস্তে আস্তে আবার ছন্দে ফিরছে টলিপাড়ার শিল্পী কলাকুশলীরা।
সুনীল চক্রবর্তী-র কাহিনী অবলম্বনে টলিগঞ্জের ‘শ্রী ভারতলক্ষ্মী পিকচার্স স্টুডিও’-তে আজ থেকে শুরু হলো নতুন বাংলা কাহিনীচিত্র ‘টাকার রং কালো’-র দৃশ্যায়ন পর্ব।
‘শুভ মহরত’ অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রের পরিচালক কল্যাণ সরকার ছাড়াও আজ হাজির ছিলেন লাভলি মিত্র, অমিতাভ ভট্টাচার্য, তনিমা সেন, রাত্রি ঘটক, সুনীতা মণ্ডল-এর মতো টলিউড ফিল্ম ইণ্ডাস্ট্রীর বেশ কিছু পরিচিত মুখ।
‘শুভ মহরত’-এর অঙ্গ রূপে চলচ্চিত্রের কয়েকটা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করার পর এই কাহিনীচিত্রের পরিচালক কল্যাণ সরকার জানান, “মেসার্স প্রশান্ত সাহানা-র প্রথম প্রয়াস রূপে আসতে চলেছে ‘টাকার রং কালো’। এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন টাকা অন্ত প্রাণ ব্যবসায়ী পশুপতি সমাদ্দার (বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী)।
এই পশুপতিবাবুকে অসাধু উপায়ে দিনরাত টাকা উপার্জনের পরামর্শ দেন তাঁর ম্যানেজার নন্দন সামন্ত (দেবাশিস গাঙ্গুলী) ও পিএ ঋত্বিকা সেনগুপ্ত (রাত্রি ঘটক)।
পশুপতিবাবুর স্ত্রী আমোদিনী (তনিমা সেন)-র সই করতে কলম ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হলেও সোনার গয়নার উপর তার বাসনা অপরিসীম।
পশুপতি ও আমোদিনী-র নিজেদের কোনো সন্তানাদি না হওয়ায় এঁরা একসময় পশুপতিবাবুর ভাগ্না জোতির্ময় (অমিতাভ ভট্টাচার্য)-কে দত্তক পুত্র রূপে গ্রহণ করেন।
এক টাকার জন্য পশুপতিবাবুর নাভিশ্বাস উঠলেও, তাঁরই দত্তক পুত্র জোতির্ময় আবার নিজের সব রোজগার সমাজের মঙ্গলের জন্যই খরচ করতে ভালোবাসেন। জোতির্ময় একটা সমাজসেবা সমিতির সাথেও জড়িত। এই সমিতির কর্ণধার অভিমন্যু (কল্যাণ সরকার), সমিতির অন্যতম সদস্যা কুহেলি (সুনীতা মণ্ডল)-কে মনে মনে ভালোবাসে জোতির্ময়।
কুহেলি-র বাবা একজন বিকৃত মস্তিষ্ক বিজ্ঞানী অরুণাংশু সেন (পার্থ চক্রবর্তী)। মানুষ ও পশুর মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বার করার জটিল গবেষণার কাজে ব্যস্ত এই ভদ্রলোক।
মেয়ে জোতির্ময়-এর প্রেমে পড়েছে জেনে অরুণাংশুবাবু একদিন কথা বলতে যান পশুপতিবাবুর কাছে।
এদিকে পশুপতিবাবুর নষ্টবুদ্ধি সম্পন্না পিএ ঋত্বিকা পশুপতিবাবুর অগাধ টাকা লুটপাট করার জন্য মনে মনে জোতির্ময়-এর স্ত্রী হওয়ার চেষ্টা চালাতে শুরু করে। ঋত্বিকার ইশারায় পশুপতিবাবু অরুণাংশুবাবুকে বিয়ের দেনা পাওনার বিষয়ে অপমান করতে শুরু করেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জোতির্ময়-এর সমাজসেবা সমিতির কর্ণধার অভিমন্যুবাবু। পশুপতিবাবুর এহেন ব্যবহার দেখে প্রতিবাদ করতে গেলে টাকা অন্ত প্রাণ পশুপতিবাবুর সাথে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায় অভিমন্যুর।
এর কয়েকদিন বাদেই দেখা যায় পশুপতিবাবুর ঘর থেকে রাতারাতি টাকা-সোনার গয়না সব উধাও হয়ে গেছে, সাথে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না পশুপতিবাবুর দত্তকপুত্র জোতির্ময়কেও… এভাবেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলবে এই ছায়াছবির ঘটনা প্রবাহ।
হাস্যরসের উপর আধারিত এই কাহিনীচিত্র বাঙালী দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।”