হীরক মুখোপাধ্যায় (১৬ ফেব্রুয়ারী ‘২১):-দুর্নীতিমুক্ত চলচ্চিত্র শিল্প ও শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্যে আজ টলিগঞ্জে সরস্বতী বন্দনা করল অভিনেতা অভিনেত্রীদের জন্য ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ’-র নিজস্ব সংগঠন ‘চিত্রভারতী’।
আজ সকালে টালিগঞ্জ টেকনিসিয়ান স্টুডিওর সামনে অবস্থিত ‘ইণ্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড-এর গেস্ট হাউসের গেটের মুখে সরস্বতী বন্দনার আয়োজন করে ‘চিত্রভারতী’।
পুজো আয়োজকদের উৎসাহিত করতে এদিন সকাল পৌনে বারোটা নাগাদ পুজোস্থল ঘুরে যান রাজ্যসভার সাংসদ ডঃ স্বপন দাশগুপ্ত।
‘চিত্রভারতী’ পুজোর বৈশিষ্ট্য হল, দেবী এখানে গাড়ীর উপর দণ্ডায়মান। চারদিকে এত ভাবনা থাকতে এই ভাবনাকে আঁকড়ে ধরার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আয়োজকবৃন্দের তরফে অভিনেতা শুভ্র মজুমদার ও রাজীব দত্ত চৌধুরী জানান, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থমন্ত্রী যখন বারংবার বলছেন ‘বেঙ্গল ইজ রকিং’, বেঙ্গল ইজ সাইনিং’ ঠিক তখন এর বিপরীতে টলিউড ফিল্ম ইণ্ডাস্ট্রী ও রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দিলে দেখা যায় দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও নৈরাজ্যের পাঁকে আবদ্ধ হয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ও সংস্কৃতির জগৎ। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ও সংস্কৃতির পরিমণ্ডল ও কর্মক্ষেত্রকে গতিময় করার লক্ষ্যে এবারে আমাদের ভাবনা ছিল ‘সরস্বতী অন হুইল’।”
প্রসঙ্গতঃ বলে রাখা ভালো, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, অন্যদিকে পার্থ চ্যাটার্জির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মহাস্তম্ভের সীমাহীন অযোগ্যতায় দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়ে পড়েছে এই দুই বিভাগেই।
এই বছর আর কয়েকমাস বাদেই হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘চিত্রভারতী’-র এহেন প্রয়াস চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে শাসকদলের বিভিন্ন নেতৃত্বের কপালে।
বেলা যত গড়িয়েছে ‘চিত্রভারতী’-র অভিনব সরস্বতী বন্দনা দেখতে ভিড় বাড়িয়েছেন টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কলাকুশলী, প্রযোজক, পরিচালক সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব।