জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে নভেম্বরের শুরু থেকেই শীত পড়তে শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্রের বাজার জমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের মুখেও কার্তিকের শেষে শীতবস্ত্রের এমন চাহিদায় হাসি ফুটেছে। বিক্রেতারা আশা করছেন এবছর ঠান্ডা বাড়তে থাকলে বিক্রির রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। জেলার বস্ত্র ব্যবসায়ীদের দাবি, “নভেম্বরের শেষের দিক থেকে প্রতিবছর শীতবস্ত্রের বাজার জমতে শুরু করে, বিক্রেতারা তাই কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থান থেকে নভেম্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহেই শীতবস্ত্র কিনে এনে দোকানে পসরা সাজাতে শুরু করেন”। জেলা জুড়ে কিন্তু এবছর একটু আগেই শীত পড়তে শুরু করেছে, ভোর আর বিকেলের পরে শীতবস্ত্র পড়তে হচ্ছে। তাই শীতবস্ত্রের চাহিদাও বেড়েছে। জেলার সদর শহর বালুরঘাট শহরের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বলেন, “শীত এবার এতটা আগে পড়বে আমাদের ধারণা ছিল না, কিছু শীতবস্ত্র গত বছরের ছিল তা ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কলকাতা থেকে দু- এক দিনের মধ্যেই আরও শীতবস্ত্র কিনে এনে দোকানে পসরা সাজাবো, শীতের এই দাপট থাকলে ভালোই লাভ হবে বলে আশা করছি”। অন্যদিকে একই দাবি পতিরামের এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর মুখেও। তিনি জানিয়েছেন, “শীত এবছর আগে আসায় শীতবস্ত্র আগেই বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। খুবই ভালো লক্ষণ এটা। পুরো শীতটাই এখনও বাকি আছে, এবার আশা করি বিক্রি ভালোই হবে”। গঙ্গারামপুরের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, “শীতবস্ত্রের বিক্রি গত কয়েক বছর ধরে বেশ কমই ছিল। এবার এখনই বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করছি অন্তত ৪০- ৫০ শতাংশ বিক্রি বাড়বে, একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের মধ্যে শীতকালে জেলার বিভিন্ন মেলাতেও তুলনামূলক কম টাকায় শীতবস্ত্র কেনার একটা হিড়িক থাকেই, ফলে এখন বাজারে খুবই প্রয়োজনের শীতবস্ত্র টুকু কিনে বাকি কেনাকাটার জন্য অনেকেই জেলার বিভিন্ন মেলার অপেক্ষা করছেন”। এবছর সারা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে শীত জাঁকিয়ে পড়লে শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়বে বলে এমনটাই আশা করছেন জেলার বিভিন্ন এলাকার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।


