ধূপগুড়ি বিডিও অফিসে বন্যা দুর্গতদের বিক্ষোভ

খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট :- ধূপগুড়ি বিডিও অফিসে আজ উত্তেজনা ছড়াল বন্যা দুর্গত মানুষের বিক্ষোভ ঘিরে। দুপুর থেকে বিডিও অফিসের মূল গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের জলঢাকা নদীর তীরবর্তী এলাকার শতাধিক মানুষ। ভয়াবহ বন্যায় হারিয়েছে ঘরবাড়ি ও সরকারি নথিপত্র। এক মাস হতে চলল এখনো কোনো প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সে বাস সংস্কারের ব্যাপারে এমনকি হারিয়ে যাওয়া সরকারি নথিপত্র হাতে পাননি তারা। তাই প্রশাসনের উদাসীনতায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দুর্গতরা।গত পাঁচ তারিখের ভয়াবহ বন্যায় ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি পঞ্চায়েত এলাকার জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এক রাতের প্রবল স্রোতে তছনছ হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি, ভেসে যায় আসবাব, নষ্ট হয় বছরের পর বছর ধরে জমানো সংসার। সবচেয়ে বড় ধাক্কা হারিয়ে গেছে প্রয়োজনীয় সরকারি নথিপত্র, রেশন কার্ড থেকে আধার, জমির দলিল, বিদ্যুৎ বিল সব কিছুই। অথচ এতদিন কেটে গেলেও প্রশাসনের তরফে বাঁধ সংস্কার বা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি।এই অবস্থায় আজ ক্ষুব্ধ মানুষজন রাস্তায় নামেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে, হারিয়ে যাওয়া সরকারি নথিপত্র দ্রুত হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অন্তত এক বছরের বিদ্যুৎ বিল মুকুব করতে হবে। এসব দাবি নিয়েই ধূপগুড়ি জেলা পরিষদ ডাকবাংলা থেকে শুরু হয় তাঁদের মিছিল। প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে তাঁরা পৌঁছান বিডিও অফিসের সামনে, সেখানেই শুরু হয় বিক্ষোভ ও অবস্থান।প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই বিক্ষোভ। বন্যায় সব হারানো মানুষদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে হতাশা আর ক্ষোভের ছাপ। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেই। এক গৃহবধূর কণ্ঠে কষ্টের আর্তি “ঘর হারিয়েছি, নথি হারিয়েছি, আজও কেউ খোঁজ নেয়নি আমাদের।”বিডিও অফিসে বিক্ষোভের খবর পেয়ে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কিন্তু দুর্গতরা জানিয়ে দেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ধূপগুড়ির এই বিক্ষোভ যেন প্রশাসনের উদাসীনতার বিরুদ্ধে বন্যা বিধ্বস্ত মানুষের দীর্ঘদিনের জমে থাকা যন্ত্রণা ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ।

ধূপগুড়ি বিডিও অফিসে বন্যা দুর্গতদের বিক্ষোভ

খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট :- ধূপগুড়ি বিডিও অফিসে আজ উত্তেজনা ছড়াল বন্যা দুর্গত মানুষের বিক্ষোভ ঘিরে। দুপুর থেকে বিডিও অফিসের মূল গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের জলঢাকা নদীর তীরবর্তী এলাকার শতাধিক মানুষ। ভয়াবহ বন্যায় হারিয়েছে ঘরবাড়ি ও সরকারি নথিপত্র। এক মাস হতে চলল এখনো কোনো প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সে বাস সংস্কারের ব্যাপারে এমনকি হারিয়ে যাওয়া সরকারি নথিপত্র হাতে পাননি তারা। তাই প্রশাসনের উদাসীনতায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দুর্গতরা।গত পাঁচ তারিখের ভয়াবহ বন্যায় ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি পঞ্চায়েত এলাকার জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এক রাতের প্রবল স্রোতে তছনছ হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি, ভেসে যায় আসবাব, নষ্ট হয় বছরের পর বছর ধরে জমানো সংসার। সবচেয়ে বড় ধাক্কা হারিয়ে গেছে প্রয়োজনীয় সরকারি নথিপত্র, রেশন কার্ড থেকে আধার, জমির দলিল, বিদ্যুৎ বিল সব কিছুই। অথচ এতদিন কেটে গেলেও প্রশাসনের তরফে বাঁধ সংস্কার বা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি।এই অবস্থায় আজ ক্ষুব্ধ মানুষজন রাস্তায় নামেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে, হারিয়ে যাওয়া সরকারি নথিপত্র দ্রুত হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অন্তত এক বছরের বিদ্যুৎ বিল মুকুব করতে হবে। এসব দাবি নিয়েই ধূপগুড়ি জেলা পরিষদ ডাকবাংলা থেকে শুরু হয় তাঁদের মিছিল। প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে তাঁরা পৌঁছান বিডিও অফিসের সামনে, সেখানেই শুরু হয় বিক্ষোভ ও অবস্থান।প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই বিক্ষোভ। বন্যায় সব হারানো মানুষদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে হতাশা আর ক্ষোভের ছাপ। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেই। এক গৃহবধূর কণ্ঠে কষ্টের আর্তি “ঘর হারিয়েছি, নথি হারিয়েছি, আজও কেউ খোঁজ নেয়নি আমাদের।”বিডিও অফিসে বিক্ষোভের খবর পেয়ে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কিন্তু দুর্গতরা জানিয়ে দেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ধূপগুড়ির এই বিক্ষোভ যেন প্রশাসনের উদাসীনতার বিরুদ্ধে বন্যা বিধ্বস্ত মানুষের দীর্ঘদিনের জমে থাকা যন্ত্রণা ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ।