খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট:- ডুয়ার্সের ধূপগুড়ি ও নাগরাকাটা ব্লকের বন্যা পরিস্থিতির পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ির গোধেয়াকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের বগরিবাড়ি ও হোগলাপাতা এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে যান রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বড়াই। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য ও তৃণমূল জেলা সম্পাদিকা মহুয়া গোপ, ধূপগুড়ি পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রাজেশ কুমার সিং, জেলা পরিষদ সদস্য মমতা বৈদ্য সরকার, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের এডিএম রৌনক আগারওয়াল সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধি।
মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা এদিন ধূপগুড়ি ব্লকের গোধেয়াকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের হোগলাপাতা পাড়ার প্রায় ৬৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী প্রদান করেন। ধূপগুড়ির বেদগাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুর্গত পরিবারগুলিকে ডিএম কিট, খাদ্যসামগ্রী, পোশাক, ত্রিপল ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই নাগরাকাটা ব্লকের বামন ডাঙ্গা ও টুন্ডু এলাকায় ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেখানে জোরকদমে চলছে ত্রাণ বিতরণ। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই এলাকায় প্রায় আড়াই হাজার ত্রাণ প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
গৌতম দেব বলেন,“দুটি করে প্যাকেট দেওয়া হয়েছে প্রতিটি পরিবারের হাতে। একটিতে রয়েছে ধুতি, শাড়ি, বাচ্চাদের জামাকাপড় ও ত্রিপল; আর অন্যটিতে রয়েছে চিড়া, গুড়, বিস্কুট, ম্যাগি, শিশু খাদ্য, চাল, ডাল, আটা প্রভৃতি। পাশাপাশি থালা, বাটি, গ্লাস এবং রান্নার সামগ্রী ও দেওয়া হয়েছে।”
ত্রাণ বিতরণে অংশ নেন স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাও।
জেলা তৃণমূলের সম্পাদিকা ও জেলা পরিষদের সদস্য মহুয়া গোপ জানান,“বন্যার রাত থেকেই প্রশাসন মানুষের পাশে রয়েছে। প্রত্যেক গ্রামে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। মন্ত্রী, ডিএম, এসপি ও জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আজ মন্ত্রী বুলু চিক বড়াই নিজে গধেয়াকুঠির ত্রাণশিবিরে এসে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেছেন। প্রশাসন ও সরকার দু’দিক থেকেই সর্বাত্মক সাহায্য করা হচ্ছে। বন্যাদুর্গতদের পাশে আমরা আছি এবং থাকব।”
বন্যার ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও প্রশাসনের এই তৎপরতা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে দুর্গত মানুষদের কাছে।