পরকীয়া সম্পর্কের জেরে খুন

মোহাম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে রোমহর্ষক খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। বারিকুলের লেপাম গ্রামে টোটোচালক সুশীল হেমব্রম খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল অভিযুক্ত বারিকুলের বিশ্বজিৎ মুর্মু ওরফে ডোগো। পরকীয়া সম্পর্ক থেকেই এই খুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে তদন্তকারীরা অফিসাররা। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুশীল হেমব্রম (৩৯) সেদিন বিকেলে টোটো নিয়ে রসপাল হাটে ভাড়ায় সবজি আনতে গিয়েছিলেন। তারপর আর ঘরে ফেরেননি। রাতেই বারিকুল-ফুলকুশমা রাস্তার আগুইগোড়া ক্যানেল সেতুর ধারে ধানখেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁর রক্তাক্ত দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে ফুলকুশমা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্ত্রী নীলিমা হেমব্রম ভেঙে পড়ে বলেন, পাড়ায় কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল না। হঠাৎ এমনটা হবে ভাবতেই পারিনি। এখন ওকে ছাড়া দুটো ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কীভাবে সংসার চালাব জানি না।

এদিকে তদন্তে নামার পরই পুলিশ জানতে পারে, মৃত সুশীলের সঙ্গে বারিকুল মাঝেরপাড়ার বিশ্বজিৎ মুর্মুর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। পরকীয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল দুই পরিবারের মধ্যে। অবশেষে সেই সম্পর্কই কাল হয়ে দাঁড়ায় সুশীলের জন্য। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুশীলকে খুন করে পালিয়ে যায়।

অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে তৎপর হয় বারিকুল থানার পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ মুর্মুকে। বুধবার তাকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনায় পরকীয়া সম্পর্কই মূল মোটিভ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে। গ্রামে এখনো আতঙ্ক ও অবিশ্বাসের পরিবেশ। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এভাবে পরকীয়া নিয়ে খুন হবে, কেউ ভাবতেই পারেনি। সবাই হতভম্ব।

পরকীয়া সম্পর্কের জেরে খুন

মোহাম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে রোমহর্ষক খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। বারিকুলের লেপাম গ্রামে টোটোচালক সুশীল হেমব্রম খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল অভিযুক্ত বারিকুলের বিশ্বজিৎ মুর্মু ওরফে ডোগো। পরকীয়া সম্পর্ক থেকেই এই খুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে তদন্তকারীরা অফিসাররা। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুশীল হেমব্রম (৩৯) সেদিন বিকেলে টোটো নিয়ে রসপাল হাটে ভাড়ায় সবজি আনতে গিয়েছিলেন। তারপর আর ঘরে ফেরেননি। রাতেই বারিকুল-ফুলকুশমা রাস্তার আগুইগোড়া ক্যানেল সেতুর ধারে ধানখেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁর রক্তাক্ত দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে ফুলকুশমা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্ত্রী নীলিমা হেমব্রম ভেঙে পড়ে বলেন, পাড়ায় কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল না। হঠাৎ এমনটা হবে ভাবতেই পারিনি। এখন ওকে ছাড়া দুটো ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কীভাবে সংসার চালাব জানি না।

এদিকে তদন্তে নামার পরই পুলিশ জানতে পারে, মৃত সুশীলের সঙ্গে বারিকুল মাঝেরপাড়ার বিশ্বজিৎ মুর্মুর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। পরকীয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল দুই পরিবারের মধ্যে। অবশেষে সেই সম্পর্কই কাল হয়ে দাঁড়ায় সুশীলের জন্য। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুশীলকে খুন করে পালিয়ে যায়।

অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে তৎপর হয় বারিকুল থানার পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ মুর্মুকে। বুধবার তাকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনায় পরকীয়া সম্পর্কই মূল মোটিভ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে। গ্রামে এখনো আতঙ্ক ও অবিশ্বাসের পরিবেশ। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এভাবে পরকীয়া নিয়ে খুন হবে, কেউ ভাবতেই পারেনি। সবাই হতভম্ব।