ভার্জিল আবলো-এর সৃষ্টি আমায় আপ্লুত করেছে: পায়েল পাত্র

ঋদ্ধি ভট্টাচার্য, কলকাতা:- সম্প্রতি একটি ডিজাইনার র‍্যাম্প শো-তে পায়েল পাত্র তার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তার জীবনে প্রথম কোন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন এবং দর্শকরা তাকে প্রশংসা করেন। শো-এর পরে তিনি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি, তার অনুপ্রেরণা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে একটি একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে একজন নবাগত হিসেবে এবং সম্প্রতি একটি ফ্যাশন শোতে দ্বিতীয় রানার-আপ হিসেবে সম্মানিত হওয়ায়, ভার্জিল আবলো-এর যাত্রা এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে আমি প্রচুর অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তার কাজ কেবল তার উদ্ভাবনী নকশার জন্যই নয়, বরং আজকের বিশ্বে একজন ফ্যাশন সৃজনশীল হওয়ার অর্থ কী তা তিনি যেভাবে পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন তার জন্যও আমার মনে গভীরভাবে অনুরণিত হয়। ভার্জিল কেবল একজন ডিজাইনার ছিলেন না – তিনি একজন দূরদর্শী ছিলেন যিনি স্ট্রিটওয়্যার এবং উচ্চ ফ্যাশনের মধ্যে রেখাটি অস্পষ্ট করেছিলেন। তার সম্পর্কে যা আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করে তা হল তিনি কীভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্থাপত্যের একটি অপ্রচলিত পটভূমি থেকে এসেছিলেন, তবুও লুই ভিটনের পুরুষদের পোশাকের শৈল্পিক পরিচালক এবং অফ-হোয়াইটের প্রতিষ্ঠাতা হয়ে ওঠেন। তিনি দেখিয়েছিলেন যে আবেগ, সত্যতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা ভেঙে এমন একটি শিল্পে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনা সম্ভব যা কখনও কখনও একচেটিয়া মনে হতে পারে। একজন নতুন শুরু করা ব্যক্তি হিসেবে, তার গল্প আমাকে আমার শিকড়ের প্রতি সত্য থাকতে, নির্ভীকভাবে সৃজনশীলতাকে আলিঙ্গন করতে এবং নিয়মগুলিকে চ্যালেঞ্জ করতে ভয় না পেতে উৎসাহিত করে। তার উত্তরাধিকার আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে ফ্যাশন কেবল পোশাক সম্পর্কে নয় – এটি সংস্কৃতি, বার্তা এবং পরিচয় সম্পর্কে। তার কাছে ফ্যাশান ইন্ডাস্ট্রি যে শুধু পোশাক তা নয় বরং সেটি আরো অনেক কিছু প্রতিনিধিত্ব করে যেমন এটি একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির আরাধনা মাত্র। তিনি ছোটবেলা থেকেই নিজেকে ফ্যাশান জগতে অনন্য রূপে ভারতে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখেন এবং পাশাপাশি নিজেকে ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলে পৃথিবীর বুকে এক অনন্য নজর গড়তে চান। সম্প্রীতি ফ্যাশন কিভাবে নতুন ও পুরনো প্রজন্মের উপর প্রভাব ফেলেছে এবং অনেক ডিজাইনারের নতুন স্টাইলগুলির সঙ্গে এটি বহনের গুরুত্ব কেমন আছে সেই ব্যাপারে তিনি বলেন এখনকার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ ঐতিহ্য উদ্ভাবনে মিশনের মাধ্যমে আধুনিক ডিজাইনারদের দ্বারা নতুন প্রজন্মের স্টাইলের বিবর্তন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। পুরনো ঐতিহ্যকে মনে রেখেই নতুনভাবে মৌলিক ভিত্তি স্থাপন কবে যা তাদের আধুনিক ব্যবহারকারীদের জন্য নকশাগুলিকে পর্যবেক্ষণ করে নতুনভাবে সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।প্রথম রানার-আপ হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে তার একক উত্তর কিছুই নেই, কারণ এটি আনন্দ থেকে সামান্য হতাশা পর্যন্ত বিভিন্ন অনুভূতির একটি মিশ্রণ হয়ে উঠেছে তবে প্রতিযোগিতার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান হতেই পারে এবং তিনি এই স্থান পেই খুশি। একজন ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি, মানসিক অবস্থা এবং প্রতিযোগিতার নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট তাদের প্রতিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিযোগিতা থেকে তিনি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মপ্রেম গড়ে তুলতে পেরেছেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যেতার থেকে বের হয়ে ভয় অতিক্রম করা, যোগাযোগ দক্ষতা এবং শিষ্টাচার বিকাশ করা, প্রামাণিকতা এবং আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব বোঝা, এবং প্রত্যাখ্যানকে সুন্দরভাবে মোকাবেলা করা এবং এটি ব্যক্তিগত বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে শিখেছেন। এছাড়াও আগামী প্রজন্মের মডেলদের তিনি বার্তা দেন “নিজের প্রতি সত্য থাকা”: হৃদয় জয় এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলার জন্য প্রামাণিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরো পেজেন্টা যাত্রায় নিজের প্রতি,নিজের মান এবং নিজের অনন্য পরিচয়ের প্রতি রাখতে হবে। নিজের প্রকৃত ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করতে হবে, এবং নিজের বিচারক ও দর্শক উভয়কে মুগ্ধ করতে হবে নিজের কাজের মাধ্যমে।এমন একটি শো-তে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পাশাপাশি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন তিনি মূলত ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন এবং সেটি চালিয়ে যেতে চান ও পাশাপাশি তার এমব্রয়েডরি ডিজাইনার কাজ চালিয়ে যেতে চান। ভবিষ্যতে ডিসাইনার হওয়ার সাথে সাথে তার মডেলিং এর স্বপ্নটাও ধরে রাখতে চান একই ভাবে। এই শো-তে দর্শকদের কুর্নিশ পাওয়ার সাথে সাথে এখন তাদের অপেক্ষায় আবার কবে তিনি জনগণের সামনে এসে তাক লাগিয়ে দেবেন।

ভার্জিল আবলো-এর সৃষ্টি আমায় আপ্লুত করেছে: পায়েল পাত্র

ঋদ্ধি ভট্টাচার্য, কলকাতা:- সম্প্রতি একটি ডিজাইনার র‍্যাম্প শো-তে পায়েল পাত্র তার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তার জীবনে প্রথম কোন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন এবং দর্শকরা তাকে প্রশংসা করেন। শো-এর পরে তিনি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি, তার অনুপ্রেরণা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে একটি একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে একজন নবাগত হিসেবে এবং সম্প্রতি একটি ফ্যাশন শোতে দ্বিতীয় রানার-আপ হিসেবে সম্মানিত হওয়ায়, ভার্জিল আবলো-এর যাত্রা এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে আমি প্রচুর অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তার কাজ কেবল তার উদ্ভাবনী নকশার জন্যই নয়, বরং আজকের বিশ্বে একজন ফ্যাশন সৃজনশীল হওয়ার অর্থ কী তা তিনি যেভাবে পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন তার জন্যও আমার মনে গভীরভাবে অনুরণিত হয়। ভার্জিল কেবল একজন ডিজাইনার ছিলেন না – তিনি একজন দূরদর্শী ছিলেন যিনি স্ট্রিটওয়্যার এবং উচ্চ ফ্যাশনের মধ্যে রেখাটি অস্পষ্ট করেছিলেন। তার সম্পর্কে যা আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করে তা হল তিনি কীভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্থাপত্যের একটি অপ্রচলিত পটভূমি থেকে এসেছিলেন, তবুও লুই ভিটনের পুরুষদের পোশাকের শৈল্পিক পরিচালক এবং অফ-হোয়াইটের প্রতিষ্ঠাতা হয়ে ওঠেন। তিনি দেখিয়েছিলেন যে আবেগ, সত্যতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা ভেঙে এমন একটি শিল্পে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনা সম্ভব যা কখনও কখনও একচেটিয়া মনে হতে পারে। একজন নতুন শুরু করা ব্যক্তি হিসেবে, তার গল্প আমাকে আমার শিকড়ের প্রতি সত্য থাকতে, নির্ভীকভাবে সৃজনশীলতাকে আলিঙ্গন করতে এবং নিয়মগুলিকে চ্যালেঞ্জ করতে ভয় না পেতে উৎসাহিত করে। তার উত্তরাধিকার আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে ফ্যাশন কেবল পোশাক সম্পর্কে নয় – এটি সংস্কৃতি, বার্তা এবং পরিচয় সম্পর্কে। তার কাছে ফ্যাশান ইন্ডাস্ট্রি যে শুধু পোশাক তা নয় বরং সেটি আরো অনেক কিছু প্রতিনিধিত্ব করে যেমন এটি একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির আরাধনা মাত্র। তিনি ছোটবেলা থেকেই নিজেকে ফ্যাশান জগতে অনন্য রূপে ভারতে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখেন এবং পাশাপাশি নিজেকে ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলে পৃথিবীর বুকে এক অনন্য নজর গড়তে চান। সম্প্রীতি ফ্যাশন কিভাবে নতুন ও পুরনো প্রজন্মের উপর প্রভাব ফেলেছে এবং অনেক ডিজাইনারের নতুন স্টাইলগুলির সঙ্গে এটি বহনের গুরুত্ব কেমন আছে সেই ব্যাপারে তিনি বলেন এখনকার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ ঐতিহ্য উদ্ভাবনে মিশনের মাধ্যমে আধুনিক ডিজাইনারদের দ্বারা নতুন প্রজন্মের স্টাইলের বিবর্তন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। পুরনো ঐতিহ্যকে মনে রেখেই নতুনভাবে মৌলিক ভিত্তি স্থাপন কবে যা তাদের আধুনিক ব্যবহারকারীদের জন্য নকশাগুলিকে পর্যবেক্ষণ করে নতুনভাবে সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।প্রথম রানার-আপ হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে তার একক উত্তর কিছুই নেই, কারণ এটি আনন্দ থেকে সামান্য হতাশা পর্যন্ত বিভিন্ন অনুভূতির একটি মিশ্রণ হয়ে উঠেছে তবে প্রতিযোগিতার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান হতেই পারে এবং তিনি এই স্থান পেই খুশি। একজন ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি, মানসিক অবস্থা এবং প্রতিযোগিতার নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট তাদের প্রতিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিযোগিতা থেকে তিনি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মপ্রেম গড়ে তুলতে পেরেছেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যেতার থেকে বের হয়ে ভয় অতিক্রম করা, যোগাযোগ দক্ষতা এবং শিষ্টাচার বিকাশ করা, প্রামাণিকতা এবং আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব বোঝা, এবং প্রত্যাখ্যানকে সুন্দরভাবে মোকাবেলা করা এবং এটি ব্যক্তিগত বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে শিখেছেন। এছাড়াও আগামী প্রজন্মের মডেলদের তিনি বার্তা দেন “নিজের প্রতি সত্য থাকা”: হৃদয় জয় এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলার জন্য প্রামাণিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরো পেজেন্টা যাত্রায় নিজের প্রতি,নিজের মান এবং নিজের অনন্য পরিচয়ের প্রতি রাখতে হবে। নিজের প্রকৃত ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করতে হবে, এবং নিজের বিচারক ও দর্শক উভয়কে মুগ্ধ করতে হবে নিজের কাজের মাধ্যমে।এমন একটি শো-তে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পাশাপাশি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন তিনি মূলত ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন এবং সেটি চালিয়ে যেতে চান ও পাশাপাশি তার এমব্রয়েডরি ডিজাইনার কাজ চালিয়ে যেতে চান। ভবিষ্যতে ডিসাইনার হওয়ার সাথে সাথে তার মডেলিং এর স্বপ্নটাও ধরে রাখতে চান একই ভাবে। এই শো-তে দর্শকদের কুর্নিশ পাওয়ার সাথে সাথে এখন তাদের অপেক্ষায় আবার কবে তিনি জনগণের সামনে এসে তাক লাগিয়ে দেবেন।