ঋদ্ধি ভট্টাচার্য, কলকাতা:- মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইস্টেম ইন্ডিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় চেম্বার অফ কমার্স, যা বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্পের, বিশেষ করে এমএসএমই-এর উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি একটি ১২৪ বছরের পুরনো শিল্প-নেতৃত্বাধীন এবং শিল্প-পরিচালিত সংস্থা, যা অর্থনীতির সকল অংশীদারদের উপকৃত করার পাশাপাশি শিল্পের জন্য অনুকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যবসা এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকে। সম্প্রীতি সরকার ঘোষণা করেছে যে চালু হওয়া জিএসটি সংস্কার অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে, সম্মতির বোঝা কমাবে, নিয়মকানুন সরল করবে, সম্মতির খরচ কমাবে এবং স্টার্টআপ এবং এমএসএমই-এর জন্য বাস্তুতন্ত্র উন্নত করবে।কেন্দ্র ১২% এবং ২৮% কর স্ল্যাব অপসারণ করেছে এবং এই স্ল্যাবের বেশিরভাগ পণ্য যথাক্রমে ৫% এবং ১৮% এ স্থানান্তরিত করেছে। এটি কিছু বিলাসবহুল পণ্যের জন্য ৪০% হারও চালু করেছে।জিএসটি পরিস্থিতিতে সংস্কারের গুরুত্ব স্বীকার করে, মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সরকারি আদেশ প্রকাশের পর এই কনক্লেভ আয়োজন করলো।যে বিষয়গুলোর মূলত উঠে এলো সেগুলি মধ্যে ছিল জিএসটি ২.০ এর প্রভাবের উপর আলোকপাত। টেকসই উন্নয়নে জিএসটি কর্তৃক পরিচালিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা এবং শিল্প, এমএসএমই এবং স্টার্ট-আপগুলির বৃদ্ধিকে সমর্থন করে এমন নীতিমালার পক্ষে সমর্থন করা। জিএসটি সংস্কারের সাথে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করা এবং শিল্প কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্তরে পরামর্শ এবং হ্যান্ডহোল্ডিং পরিষেবা প্রদান করে। ইউনিটগুলিকে একটি নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেই মূলত পাশে দাঁড়ালো মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স। এই কনক্লেভ গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করলো।নীতিনির্ধারক এবং উৎপাদন, পরিষেবা এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রের শিল্প বিশেষজ্ঞরা শিল্প, ব্যবসা ও বাণিজ্যের ক্ষমতায়ন এবং প্রবৃদ্ধির কৌশল নিয়ে আলোচনাও হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল এমসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট শ্রী অমিত সারোগী। তিনি বলেন এর ফলে ভারতের অনেক অর্থনীতি উন্নয়ন হয়েছে এবং তার ফলে সবার সুবিধা হয়েছে। তিনি এও বলেন আগামী ১৯ তারিকে তাদের একটি বৈঠক আছে এবং সেখানে অনেক বিনিয়োগ কারিরা ৩০ হাজার কোটি বেশি বিনিয়োগ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ধরনের সেক্টরে। এর ফলে মূলত সাধারণ মানুষের অনেক সাহায্য হয় এবং শুধু তাই নয় ইন্সুরেন্স এর হার কমে শূন্যে চলে যাওয়ার জন্য বহু শ্রেনি মানুষজন সাশ্রয় হয়েছে।এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা অঞ্চলের চিফ কমিশনার শ্রী সারাঅন কুমার ও কমার্শিয়াল ট্যাক্স এর কমিশনার ডক্টর উমা শঙ্কর। তাদের মতে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন এবং কুর্নিশ করেছে। এছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে কি ভাবে সরকার থেকে রিটার্ন নথিভুক্ত করবে এবং নতুন ধরা অনুযায় কি ভাবে তারা এগোবে।এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিমল জৈন সহ বিক্রম ওয়াইন, জয়োজিত বণিক, অরবিন্দ ভাইটি,রিশোভ খেমেকা সহ আরো অনেক বিশিষ্টজনেরা। ইন্সুরেন্স ছাড়াও খাবার এর ওপর শূন্য ট্যাক্স আর ৫% ট্যাক্স হয় যাওয়ার জন্য তারা এটিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এখন মূলত সাধারণ মানুষের অপেক্ষা আগামী ২২-শে সেপ্টেম্বর জন্য এমন অমুল পরিবর্তন-এর জন্য।