নিজস্ব প্রতিনিধি , রাজারহাট: বিমানবন্দরের রানওয়ের সামনে বেআইনি বহুতল নির্মাণের অভিযোগ। বেআইনি বহুতল নির্মাণের যেন প্রতিযোগিতা চলছে বিমাননগরে, মালির বাগানে। স্থানীয় নাগরিকদের অভিযোগ যারা এখানে স্থায়ী বাসিন্দা তাদের জি প্লাস টুর বেশি পারমিশন দেয় না কর্পোরেশন সেখানে কোন রহস্যে প্রোমোটাররা জি প্লাস ত্রি ফোর ফাইভ সিক্স বিল্ডিং তুলছেন। তাজ্জব বনে যাচ্ছেন এলাকার মানুষ। বিধাননগর পুর নিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিমাননগরে এবং মালির বাগানে এরকম অনেকগুলি বেআইনি বহুতল নির্মাণের অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি আমেদাবাদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরে স্থানীয় মানুষদের আরও অভিযোগ পাশেই দমদম বিমানবন্দর। রানওয়ের মুখে বিমাননগরে বেআইনি বহুতল নির্মাণ হওয়ায় আশঙ্কা করছেন তারা যে কোন মুহূর্তে গুজরাটের আমেদাবাদের মত বিমান দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।ইতিমধ্যে এয়ারপোর্ট আটঘরা কৈখালি দশদ্রোনের বেশ কিছু বহুতল আবাসনের বাড়ি ভাঙার নোটিশ জারি করে রেখেছে। তার পরেও কিভাবে রানওয়ের সামনে বিমাননগরে মালির বাগানে বহুতল নির্মাণ হয়। প্রশ্ন করছেন ওয়ার্ডের নাগরিকরা। বিমাননগরে কোথাও দু কাটা,আড়াই কাটা জমির উপর জি প্লাস ফোর উঠছে। কোথাও মাটি ভরাট হচ্ছে। এই ভাবে জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক বেআইনি বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। মালির বাগানে তো সরু রাস্তার উপরে জি প্লাস ফাইভ হাকিয়ে বসলেন অসাধু প্রোমোটার। পাশে আর একটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বিমাননগরে সরকারী জায়গার উপর বহুতল নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ। যেন হরির লুট হচ্ছে বিধাননগর পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অথচ নির্বিকার পৌর প্রতিনিধি সম্রাট বড়ুয়া ওরফে রাখাল ! কাউন্সিলারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার মানুষ। বিধাননগর পুর নিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সম্রাট বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বাড়ি তৈরি করার ব্যাপারে নীল নকশা অনুমোদন দেওয়ার কেউ নন কাউন্সিলার। পুর নিগমের ইন্জিনিয়াররা বলতে পারবেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন বিমাননগরে পঁচিশ ছাব্বিশ কাটা সরকারি জমি পাওয়া গেছে। মাস পিটিশন করে ভূমি দফতরকে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় যুবকরা জানান ওই জায়গায় আগে খেলাধুলো করা হত। এখন জলা জঙ্গল হয়ে গেছে। এই সরকারী জমি জবর দখল হয়ে যাচ্ছে। এই জমি উদ্ধার করতে তারা আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন।