২৬ এর ভোটের আগে বড় রদবদল

মহম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া: ২৬ এর ভোটের আগে বড়সড় রদবদল বাউরী কালচারাল বোর্ডে। ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে দেবদাস দাস কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল দীপক দুলেকে। সম্প্রতি নব নিযুক্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্যেই পরিস্কার অন্তর্কলহে জর্জরিত বাউরী কালচারাল বোর্ড। তার জেরেই কী এই রদবদল? জল্পনা তুঙ্গে।এ রাজ্যের অন্যতম বড় জনগোষ্ঠী বাউরী। সারা রাজ্যে সবমিলিয়ে জনসংখ্যা কয়েক কোটি । বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও হুগলি জেলার প্রায় ৬৮ টি বিধানসভা আসনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক এই জনগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীকে নিজেদের পক্ষে টানতে ২০২১ সালে রাজ্যে বাউরী কালচারাল বোর্ড গঠনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার দাপুটে তৃনমূল নেতা দেবদাস দাস কে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু ৪ বছর যেতে না যেতেই সম্প্রতি রাতারাতি তাঁকে সরিয়ে ওই পদে বসেন তৃনমূল নেতা পেশায় শিক্ষক দীপক দুলে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে অপসারিত দেবদাস দাসকে। ২০২৬ এর ভোটের আগে কেন এই রদবদল? বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা বোর্ডের ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে অন্তর্কলহই এর অন্যতম কারন। গতকাল বাঁকুড়ার তৃনমূল ভবনে নবনিযুক্ত বোর্ড চেয়ারম্যানের সম্বর্ধনা সভায় নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্যে সেই অন্তর্কলহের ছবি আরো স্পষ্ট হয়েছে। ওই সভায় বোর্ড চেয়ারম্যান দীপক দুলে অপসারিত দেবদাস দাসকে উদ্যেশ্য করে বলেন, “অনেকে কান ভাঙানি দিয়ে আপনার ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরী করার চেষ্টা করে। আপনার ও আমার অনুগামীদের মধ্যে লড়াই হবে। কিন্তু আমাদের দুজনকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে আগামী বিধানসভায় লড়াই করতে হবে”। নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানের দাবি আন্তরিকতা, তৎপরতা ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারনে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে বোর্ডের উদ্যেশ্য। আগামীদিনে সেই ভুল শুধরে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অপসারিত বোর্ড চেয়ারম্যান দেবদাস দাস। বিজেপির দাবি বোর্ডের কর্মকর্তাদের একটাই উদ্যেশ্য সরকারি অর্থ লুটেপুটে খাওয়া। তাঁরা সমাজের জন্য কোনো কাজই করেননি। এখন বাউরী ভোট নিজেদের পক্ষে টানার জন্য বোর্ডের মুখ বদল করেছে তৃনমূল। কিন্তু তাতে তৃনমূল বাউরী সমাজের মন বদল করতে পারবে না। বাউরী সমাজ বিজেপির সঙ্গে আছে।

২৬ এর ভোটের আগে বড় রদবদল

মহম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়া: ২৬ এর ভোটের আগে বড়সড় রদবদল বাউরী কালচারাল বোর্ডে। ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে দেবদাস দাস কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল দীপক দুলেকে। সম্প্রতি নব নিযুক্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্যেই পরিস্কার অন্তর্কলহে জর্জরিত বাউরী কালচারাল বোর্ড। তার জেরেই কী এই রদবদল? জল্পনা তুঙ্গে।এ রাজ্যের অন্যতম বড় জনগোষ্ঠী বাউরী। সারা রাজ্যে সবমিলিয়ে জনসংখ্যা কয়েক কোটি । বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও হুগলি জেলার প্রায় ৬৮ টি বিধানসভা আসনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক এই জনগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীকে নিজেদের পক্ষে টানতে ২০২১ সালে রাজ্যে বাউরী কালচারাল বোর্ড গঠনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার দাপুটে তৃনমূল নেতা দেবদাস দাস কে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু ৪ বছর যেতে না যেতেই সম্প্রতি রাতারাতি তাঁকে সরিয়ে ওই পদে বসেন তৃনমূল নেতা পেশায় শিক্ষক দীপক দুলে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে অপসারিত দেবদাস দাসকে। ২০২৬ এর ভোটের আগে কেন এই রদবদল? বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা বোর্ডের ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে অন্তর্কলহই এর অন্যতম কারন। গতকাল বাঁকুড়ার তৃনমূল ভবনে নবনিযুক্ত বোর্ড চেয়ারম্যানের সম্বর্ধনা সভায় নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্যে সেই অন্তর্কলহের ছবি আরো স্পষ্ট হয়েছে। ওই সভায় বোর্ড চেয়ারম্যান দীপক দুলে অপসারিত দেবদাস দাসকে উদ্যেশ্য করে বলেন, “অনেকে কান ভাঙানি দিয়ে আপনার ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরী করার চেষ্টা করে। আপনার ও আমার অনুগামীদের মধ্যে লড়াই হবে। কিন্তু আমাদের দুজনকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে আগামী বিধানসভায় লড়াই করতে হবে”। নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানের দাবি আন্তরিকতা, তৎপরতা ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারনে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে বোর্ডের উদ্যেশ্য। আগামীদিনে সেই ভুল শুধরে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অপসারিত বোর্ড চেয়ারম্যান দেবদাস দাস। বিজেপির দাবি বোর্ডের কর্মকর্তাদের একটাই উদ্যেশ্য সরকারি অর্থ লুটেপুটে খাওয়া। তাঁরা সমাজের জন্য কোনো কাজই করেননি। এখন বাউরী ভোট নিজেদের পক্ষে টানার জন্য বোর্ডের মুখ বদল করেছে তৃনমূল। কিন্তু তাতে তৃনমূল বাউরী সমাজের মন বদল করতে পারবে না। বাউরী সমাজ বিজেপির সঙ্গে আছে।