31 C
Kolkata
Saturday, March 15, 2025
বিশ্ব বাংলা নিউজজেলাসুপারি সিদ্ধ করে সুপারির খোসা ছাড়িয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন কিছু সংখ্যক মহিলারা

সুপারি সিদ্ধ করে সুপারির খোসা ছাড়িয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন কিছু সংখ্যক মহিলারা

খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট: সুপারি সিদ্ধ করে সুপারির খোসা ছাড়িয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন কিছু সংখ্যক মহিলারা আর সেই সুপারি রোদে শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। পরে তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আড়তদাররা। বানারহাট এর চানাডিপা,মধ্য শালবাড়ি সহ অধিকাংশ গ্রামে সুপারির এই ধরনের ব্যবসায় অনেকেই লাভের মুখ দেখেছেন। আড়তদারদের দাবি গত তিন মাসে ওই ব্যবসায় প্রায় এক লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে। অন্যদিকে, দৈনিক কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয়ের মুখ দেখছে পরিবারগুলিও। লাভের অঙ্ক দেখে বহু পরিবারে ছোট থেকে বড় সকলেই হাত লাগিয়েছেন এই কাজে। স্থানীয় ভাবে এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘সুপারি সিজার’। ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা দেখে অনেকেই আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হতে এই কাজে নেমেছেন। বানারহাট ব্লকের চানাডিপা, মধ্য শালবাড়ি দুরামারি নাথুয়া সহ বেশ কিছু গ্রামে
গ্রামে গেলে চোখে পড়বে ঘরে ঘরে সুপারির খোসা ছাড়িয়ে চলেছেন মহিলারা। বহু ক্ষেত্রে হাত লাগিয়েছে ছোটরাও। সুপারি খোলানের মালিকরা গ্রামে গ্রামে গিয়েই সিদ্ধ সুপারি জোগাড় করে দিচ্ছেন মহিলাদের খোসা ছাড়ানোর জন্য। আর সেই সুপারি চাতালেই শুকিয়ে কে ক্রীতাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। কিন্তু সুপারি পাওয়ার পদ্ধাতিতে হটাৎ এই বদল কেন?
আগে সুপারি ছাড়িয়ে রোদে শুকিয়ে দোকানে বা ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যেত। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অল্প দিনেই তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকত। নতুন পদ্ধাতিতে কাঁচাসুপারি গরম জলে সিদ্ধ করে।
খোসা ছাড়িয়ে তা থেকে সুপারি বের করে নেওয়ায় তা অনেকদিন ধরে ভাল রাখা যায়। চানাডিপা, গ্রামের শাহেদ আলী ও আশরাফ হোসেন। বলেন, “ফুলো সুপারি সাধারণত নরম হওয়ায় অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য তা কেনার পরে ভাল করে সিদ্ধ করলে একটা সুন্দর রং হয়, শক্ত হওয়ার পরে অনেক দিন ভাল থাকে।”
চানাডিপা গ্রামের, ওলীমা খাতুন বলেন, “এক ঢাঁকি সুপারি ছাড়িয়ে ২৫ টাকা পাওয়া যায়। সারা দিনের কাজ সামলে দিনে ১০-১১ ঢাকি সুপারি ছাড়াতে পারি। ৫-৬ জনের পরিবারে সকলে মিলে কাজ করলে প্রতিদিন ২০০ টাকার মতো রোজগার হয়। অভাবের সংসারে এটা বড় কাজ দিয়েছে।” অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বলে, “পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সুপারি সিজার করি। এতে যেমন পরিবারের সাহায্য হয়, তেমনই নিজেদের হাত খরচটাও জোগাড় হয়ে যায়।”
স্থানীয় বাসিন্দা মানিক হোসেন বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে আশ্বিন, কার্তিক ও অগ্রহায়ণ, এই তিন মাসে সুপারি সিজারের কাজে কিছুটা আর্থিক সুবিধা হয়েছে।”

বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন বিশ্ব বাংলা নিউজের ওয়েবসাইট এ।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,912FollowersFollow
22,200SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles