মোহম্মদ শাজাহান আনসারী, বাকুড়াঃ দুপুরে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে গিয়েছিলেন বাঁকুড়ার রানীবাঁধ ব্লকের ডুবুখানা গ্রামের গৃহবধূ রাধিকা মান্ডি। হঠাৎই জঙ্গল থেকে ছুটে বাড়িতে ফিরেই জ্ঞান হারান তিনি। গৃহবধূর দাবী জঙ্গলে বাঘের একেবারে সামনে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই বন দফতর এলাকায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া গৃহবধূর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এদিকে সত্যি ওই গৃহবধু বাঘ দেখেছেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হলেও এলাকার মানুষকে একা জঙ্গলে যেতে নিষেধ করে প্রচার চালায় বন দফতর। তাহলে কী আবারো ঝাড়খন্ড থেকে এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে ফিরল বাঘ? সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছে না বন দফতরও। নিশ্চিত হতে এলাকায় বসানো হল ট্র্যাপ ক্যামেরাও।
বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহির জঙ্গলে জিনাত ধরা পড়ার পর ঝাড়খন্ড থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ দুদফায় এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে আসে। দুদফায় প্রায় ১২ দিন কাটিয়ে চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই সে ফিরে যায় ঝাড়খন্ডের দলমা পাহাড়ে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের গতকাল বাঘের আতঙ্ক চেপে বসে জঙ্গলমহলে। গতকাল বাঁকুড়ার রানীবাঁধ ব্লকের ডুবুখানা গ্রামের গৃহবধূ রাধিকা মান্ডি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে গিয়ে বাঘের দেখা পেয়েছেন বলে দাবী করেন। জঙ্গল থেকে প্রাণভয়ে বাড়িতে ছুটে এসে আতঙ্কে জ্ঞান হারান তিনি। পরে বন দফতর তাঁকে রানীবাঁধে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। রাধিকার দাবী তিনি জঙ্গলে একেবারে বাঘের মুখোমুখি এসে পড়েছিলেন। জন্তুটি যে বাঘই সে ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি। রাধিকা মান্ডির বাঘের মুখে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর জেগে স্থানে স্থানে আগুন জ্বেলে গ্রামপাহারা শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এভাবে বারংবার বাঘের আতঙ্ক তৈরী হওয়ায় নিজেদের জঙ্গল নির্ভর রুজি রুটি নিয়ে চূড়ান্ত আশঙ্কায় স্থানীয় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা। অন্যদিকে জন্তুটি যে বাঘই সে ব্যাপারে বন দফতর নিশ্চিত না হলেও ঝাড়খন্ডের দলমা থেকে তার ফের এ রাজ্যে ফিরে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছে না বন দফতর। নিশ্চিত হতে এলাকার জঙ্গলে একাধিক ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়।