মহম্মদ শাহজাহান আনসারী, বাঁকুড়াঃ বিহারের বাঙ্কা জেলার অমরপুর বাসিন্দা ব্যবসায়ী রোহিত কুমার সাহু ধান থেকে চাল করার পৈত্রিক ব্যবসা রয়েছে। সেইমতো গত ৩ জানুয়ারি দুটি লরিতে করে ধান ভর্তি করে নিয়ে আসছিলেন বর্ধমানের সেহেরাবাজার চাল মিলে। চুরি যাওয়া ১৪ চাকার লরিটিতে মোট ৩০ টন ধান বোঝাই ছিল, যার আনুমানিক মূল্য ৮ লক্ষ টাকার মতো। প্রথমবারের জন্য একটি লরি ভাড়া নেওয়া হওয়ায় বাবা রাম বিলাস সাহু চালক ও খালাসীর সঙ্গে ওই লরির সওয়ারি হন। হঠাৎই ড্রাইভার খালাসী দাবি করে লরি তারা দুর্গাপুর হয়ে নয়, বেলিয়াতোড় সোনামুখী দিয়ে বর্ধমান নিয়ে যাবেন। গত ৩ রা জানুয়ারি রাত্রি এগারোটা নাগাদ বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার এলাকার একটি লাইন হোটেলে খেতে ঢোকেন ব্যবসায়ীর বাবা। ড্রাইভার খালাসীকে খেতে বললে তারা খিদে নেই বলে গাড়িতেই রয়ে যায়। পরবর্তীকালে ব্যবসায়ী রাম বিলাস সাহু খাওয়া শেষ করে হোটেলের বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন লরি গায়েব। ফোন করে চালক ও খালাসী ও লরি মালিকের যোগাযোগ না পেয়ে ছেলেকে বিষয়টি জানান। ছেলে এসে বেলিয়াতোড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশী তদন্তে মিলে সাফল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে গ্রেপ্তার হয় লরি চালক ও খালাসী, পরবর্তী তাদের জিজ্ঞেসাবাদ করে মালিকের হদিস পাই জেলা পুলিশ। ধান সমেত লারিটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট গ্রেফতার করা হয়েছে লরি চালক দীপেন গোস্বামী, খালাসি টোটন বনসারি ও মালিক অচিন্ত্য ঘোষকে,সকলেই বাঁকুড়ার কোতুলপুর বাসিন্দা। বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়েছে।