সুদীপ্ত ঘোষ,কলকাতা: প্রতিবারের মতন এ বছরও নিউমিসমেটিক সোসাইটি অফ ক্যালকাটা আয়োজন করলো মুদ্রা উৎসব ২০২৪। এবার অনুষ্ঠানটি হয়ে গেল বালিগঞ্জের হলদিরামের সেমিনার হলে গত ২০ থেকে ২২-শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই মুদ্রা পরিষদের সেক্রেটারি শ্রী রবি শংকর শর্মা কথা অনুযায়ী জানা যায় যে ভারতীয় মুদ্রা এমন জিনিস যা দিয়ে ইতিহাস কথা বলে এবং সেই ইতিহাসকে ধরে রাখা এবং বহন করার কাজ করে চলেছে এই সোসাইটি সমস্ত সংগ্রহকরা। এবছর যেমন ভারতীয় মুদ্রায় বিবর্তন এর ওপর প্রদর্শনী ছিল এছাড়াও ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যন্ত্র দ্বারা সমস্ত মুদ্রায় যে বানানো হয় তারও একটি বিবর্তন ছিল। এমনই জিনিসের ওপর প্রদর্শনী করবেন ধানবাদ এর এক সংগ্রহকারি শ্রী প্রেম কুমার। এছাড়াও সেই সময়ের সমস্ত স্টেট কয়েন এর ওপর প্রদর্শন করবেন শ্রী তপন কুমারশীল এবং কলকাতার ট্যাকশাল-এর থেকে যে সমস্ত মুদ্রা মুদ্রিত হয়েছিল ও ভারতীয় মুদ্রা যেগুলি বিদেশ থেকে মুদ্রিত হয়েছিল তার ওপর একটি বিশেষ পপ্রদর্শন করবেন শ্রী সুমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রদর্শনী থেকে জানা যায় যে আমাদের ভারতীয় মুদ্রা ভারত বর্ষ ছাড়াও রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, কানাডা এবং ইংল্যান্ডের থেকেও মুদ্রিত হয়েছিল ১৯৮৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত। ব্রিটিশ সময়ের মুদ্রা ও টোকেনের উপর প্রদর্শন করেন সৌভিক মজুমদার এবং বিশ্বের সমস্ত নামী লোকেদের ওপর ব্যাংক নোটের সংগ্রহ প্রদর্শনী করবেন প্রবাদ প্রতিম সংগ্রাহক শ্রী অনিন্দ্য কর। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের থেকে আজ অবধি বহু বিজোড় মূল্যের ব্যাংকনোট বার হয়েছে। তারই একটি বিশেষ প্রদর্শন করবেন শ্রীদেব কুমার পাল এবং সেখানে ফিজির সাত ডলার থেকে শুরু করে সৌদি আরবে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় ২২ রিয়ালের বিশেষ ব্যাংক নোটগুলি প্রদর্শনীতে করেন। এছাড়াও বর্তমান পৃথিবীর বৃহত্তম মালয়েশিয়ার ৬০০ রিঙ্গিত এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট নোট ( রুমানিয়ার ১০ বাণীর নোট) এবারের ২২ তম মুদ্রা উৎসবে কলকাতাবাসীকে দেখানো হয়েছিল।এই ৬০০ রিঙ্গিত আমাদের ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৫০০০ টাকার সমান। মালয়েশিয়া দেশ তাদের ৬০ বছর স্বাধীনতা উপলক্ষে তিন রকমের স্মারক নোট বার করে। একটি বৃহতম ৬০০ রিঙ্গিত এর(যেটি বিশ্বের বৃহত্তম নোট বলে পরিচিত), একটি ৬০ রিঙ্গিত-এর এবং একটি ৩x ৬০ Ringgit এর তিন নোট এক সাথে যাকে সিট রূপে। তিন রকম নোট প্রত্যেকটিই ৬০০০ পিস করে মুদ্রিত করা হয়েছিল এবং রিলিজ করা হয়। আমরা বাঙালিরা আমাদের ভাগ্য রাশিফল এর ওপর নির্ভর করে হয়তো দিন শুরু করি এবং সেই রাশিফল বিভিন্ন ধরনের হয়। একটি যেমন চন্দ্রের ওপর নির্ভরযোগ্য আরেকটি সূর্যের ওপর। ঠিক তেমনি ভাবে চীনা রাশিফল উপর ম্যাকাও থেকে যে সমস্ত নোটগুলি বেড়িয়েছিল তারই একটি প্রদর্শনী তুলে ধরেন কলকাতার সংগ্রাহক শ্রী ঋদ্ধি ভট্টাচার্য। এছাড়াও এই তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল প্রাচীন মুদ্রা ও দুষ্প্রাপ্য মুদ্রা নিলাম এবং সেমিনার।