খাদিমুল ইসলাম,বানারহাটঃ হাতি, চিতা বাঘকে পাস কাটিয়ে খুদে পড়ুয়ারা এলেও সময় মত স্কুলে না পৌঁছনোর অভিযোগ শিক্ষকদের বিরূদ্ধে। জলপাইগুড়ি জেলার বানার হাট ব্লকের মরাঘাট বনাঞ্চল,চা বাগান এবং বণ বস্তি ঘেরা অনগ্রসর জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার তোতাপাড়া বিটের অন্তর্গত তোতাপাড়া এফ বি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ তুলে সোচ্চার অভিভাবক কুল। তোতা পাড়া এফ বি স্কুলটিতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেনীর পঠনপাঠন করানোর জন্য রয়েছে প্রধান শিক্ষক সহ তিন শিক্ষা কর্মী , যার মধ্যে একজন পার্স শিক্ষক। চা বাগান এবং বণবস্তি থেকে কুয়াশায় গা ঢাকা দিয়ে থাকা মোরাঘাট জঙ্গলের হাতি , চিতা বাঘকে পাস কাটিয়ে ৮৫ জন খুদে পড়ুয়া সঠিক সময়ে পৌছে যায় শিক্ষা লাভের আশায়।তবে ক্ষুদেদের এই আশায় জল ঢেলে দেয় স্কুলে পৌছে শিক্ষকদের আসার অপেক্ষা। স্কুলের এমন অবস্থার কথা বলতে গিয়ে তোতা পাড়া বণবস্তির বাসিন্ধা রূপেশ ওরাও বলেন,এখানে মাস্টার সময় মত আসে না, এতে এই বাচ্চা গুলো পঠন পাঠনে পিছিয়ে যাচ্ছে, এরপর ওড়া নিজের গ্রামের নাম বলতে লিখতে পারবে না। রূপেসের মতো একই অভিযোগ সুরেশের গলায় , স্কুল প্রসঙ্গে অভিযোগের সুরে বলেন, আমরা এমনিতেই ব্যাকওয়ার্ড এরিয়া, আমরা চাই ভালো মতো বাচ্চাদের পড়ানো হোক, কারন এই স্কুলে না পড়লে সেই বানার হাট ছাড়া উপায় নেই আমাদের। এর আগেও স্কুল নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল,কিন্তু কোনো সুরাহা হয় নি।
স্কুল পড়ুয়া দর্শন ওরাও অবশ্য রোজকারের মতো সঠিক সময়ে স্কুলে এসে বসে থাকে, দর্শন যদিও বলে মাস্টার মশাই বারোটার সময় আসবে , খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো হয়।
যদিও মোটর সাইকেলে চেপে তোতা পাড়া বাজার থেকে স্কুলে আসা প্রধান শিক্ষক রামনারায়ণ শা ,অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন দেরিতে আসি এই অভিযোগ সঠিক নয়, আজকেও স্কুলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রিন্ট করিয়ে তবেই স্কুলে পৌঁছলাম। এলাকাবাসীদের অভিযোগের জবাবে স্কুল দফতরের সার্কেল ইন্সপেক্টর রাজদীপ সরকার ফোনে জানান, এর আগেও ওই স্কুলের বিরূদ্ধে অভিযোগ এসেছিলো, ওনাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছিল।
আবারো ডাকবো এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবশ্যই জানাবো।