খাদিমুল ইসলাম,বানারহাট: নানাই নদীর ওপর সেতু আর কবে হবে ! জনমনে তীব্র ক্ষোভ বছর পাঁচেক আগে স্থায়ী সেতুর ভগ্ন দশার কারণে সরকারিভাবে সেই সেতুকে ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। পরিবর্তে ওই সেতুর পাশেই পূর্ত দপ্তর ছয় টন ভার বহনকারী একটি লোহার ব্রিজ তৈরি করে দেয়। আর এর পর থেকে কেটে গিয়েছে বহু বছর। ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহকুমা শালবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নানাই ব্রিজ। মূলত গয়েরকাটা থেকে নাথুয়া যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নানাই নদীর উপর অবস্থিত এই সেতু। তাই ব্রিজের সামনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইট বাম্পার। তার কিছুদূর পরই কংক্রিটের সুবিশাল বেরিয়ার তৈরি করে সেই ব্রিজে যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর লোহার ব্রিজ আয়তনে যথেষ্ট কম হওয়ায় পাশাপাশি হাইট বাম্পার বসানো হয় ।এই রাস্তা দিয়ে বাস চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে এই রাস্তা পারাপারের সময় মোড়াঘাট রেঞ্জের একটি সুবিশাল জঙ্গল পথ পরে। যার মধ্যে বন্যপ্রাণীদের করিডোর আছে। বর্তমানে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছোট ছোট ম্যাগজিমো ও তিন চাকার টোটো। আর এই দুই যানবাহনে যাতায়াত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষজনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী অনিমেষ সরকার বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নোনাই নদীর উপরে অত্যন্ত বিপদজনক ভগ্নদশায় কংক্রিটের ব্রিজটি পড়েছিল। এবং পরবর্তীতে সরকারিভাবে নির্দেশ নামা দিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। গয়েরকাটা হয়ে দুরামারি নাথুয়া এমনকি এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সেই কারণে পূর্ত দপ্তরের তরফে ব্রিজের পাশেই আরেকটি লোহার ব্রিজ নির্মাণ করে দেন। কিন্তু সমস্যা হল সেই ব্রিজে একদিকে যেমন ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ পাশাপাশি নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী পারাপার করার নির্দেশিকা রয়েছে। আর এতেই বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ।