খাদিমুল ইসলাম,ডুয়ার্স: এরা রাখাল। আর রাখাল নামের আড়ালে হারিয়ে গেছে ওদের আসল নাম। বিভিন্ন গ্রামে একশ্রেণির যুবক মা-বাবার ইচ্ছায় রাখাল হয়ে বেড়ায় মাঠে ময়দানে। সকালে গরু নিয়ে চলে যায় মাঠে। সারাদিন গরু চড়িয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে। সারাদিন গরু খোলা মাঠে ঘাস খাবে। আর রাখালের কাজ গরু পাহারা দেয়া। এসব কাজ রাখাল রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে করে। বজ্রপাতে মাঠে ওই রাখালদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে অহরহ। সরজমিন দেখা যায়, গ্রাম এলাকায় কয়েক ঘরের গরু একজনে নিয়ে মাঠে বা হাওরে যায়। দুপুরে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া টিফিনের খাবার খায় ওরা। সন্ধ্যায় গাটিয়া নদীর চর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন রাখাল সাবির হোসেন । তার চেহারায় ক্লান্তির চাপ। রোদে মুখ কালো হয়ে গেছে। শুকিয়ে গেছে দুটি ঠোঁট। প্রতিদিন বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে যায় তারা। খোলা আকাশের নিচে ঘাসযুক্ত মাঠে ছেড়ে দেবে গরুর দল। ইচ্ছেমতো ঘুরবে আর ঘাস খাবে। লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবে এসব যুবক রাখালরা। পিপাসা পেলে খাল বিলের পানিই ভরসা। পরিচ্ছন্নতার কোনো বালাই নেই। হঠাৎ ঝড়ে জীবন বাঁচাতে রাখাল যুবকরা মাটিতে বসে অথবা শুয়ে পড়ে। গরুও বাঁচাতে হবে। নিজেকেও রক্ষা করতে হবে। অন্য শিশুরা স্কুলে গেলেও তারা যেতে পারছে না। বন্ধু-বান্ধব ও সহপাঠীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারে না। রাখাল সাবির হোসেন বলে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বিদ্যুৎ চমকানি ও বিকট শব্দে ভয়ে শরীরে কম্পন শুরু হয়। অনেক সময় গরুর আঘাতে আহত হতে হয়। এক প্রশ্নে তারা জানায়, পড়া লেখা নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। যদিও বানারহাট এর দুরামারীর খাদিমুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এমন অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে শিশুরা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। শারীরিক গঠন কাঠামোতে সমস্যা হতে পারে।