খাদেমুল ইসলাম,ডুয়ার্স: কাল থেকে অর্থাৎ শনিবার থেকেই উত্তরবঙ্গে চা পাতা তোলার মরসুম শেষ! মাথায় হাত চা শ্রমিকদের। এবছর আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় চা উৎপাদন প্রত্যাশিত পরিমাণে হয়নি। এতে উৎপাদন কমে গেছে বহু পরিমাণে। বলাই যায়, চা শিল্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা এবং চা শ্রমিকদের অর্থ উপার্জনের পথ বড় ক্ষতি। নভেম্বর মাসের শেষ দিন উত্তরবঙ্গে চা পাতা তোলার মরশুমের শেষ দিন। এই বছরের চা উৎপাদন নিয়ে হতাশা কাটাতে পারছেন না ক্ষুদ্র চাষী থেকে বড় চাষী শিল্পপতিরা।
আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায়, ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা পাতা তেমনভাবে পাওয়া যায়নি। ফলস্বরূপ, চা উৎপাদন এই বছর গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৮ মিলিয়ন কিলোগ্রাম কম হবে। এদিকে টি-বোর্ডের নির্দেশে , ৩০ নভেম্বর, চা পাতা তোলার শেষ দিন ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে ডুয়ার্স ও আসাম অঞ্চলের চাষিরা, যারা দুই পাতা ও একটি কুঁড়ি সংগ্রহ করেন, তাদের জন্য এটি বড় একটি ক্ষতি বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। প্রত্যেক বছর নভেম্বরের শেষদিকে চা পাতা তোলার সময়সীমা শেষ হলেও, এবছর আবহাওয়া অস্বাভাবিক হওয়ায় উৎপাদন ব্যপকভাবে কমে গেছে। পাশাপাশি, চা পাতার মানও আশানুরূপ হয়নি। এর ফলে, বাজারে চায়ের দাম তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেলেও, তা শ্রমিকদের আয়ের উপর তেমন প্রভাব ফেলেনি।চাষিরা আশা করেছিলেন যে শেষ মুহূর্তে কিছুটা বৃদ্ধি হতে পারে, তবে সে আশাও পূর্ণ হয়নি। এবার থেকে আগামী বছর পর্যন্ত চা পাতা তোলার অপেক্ষায় থাকতে হবে উত্তরবঙ্গের চাষিদের।