খাদিমুল ইসলাম,বানারহাট: স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার দেখাতে এসে অবৈধ প্রাইভেট চেম্বারের দালালদের খপ্পরে পড়ছেন রোগীরা। ওষুধ কিনতে গেলে সেখান থেকেও প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রলোভিত করা হচ্ছে। অথচ সেই প্রাইভেট চেম্বারগুলির অনেকগুলির লাইসেন্স নেই। অনুমোদনটুকুও নেই। ফলে সেখানে চিকিৎসা করালে রোগীরা জটিল সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা। ধূপগুড়ি মহকুমার দুরামারি বাজারে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাইভেট চেম্বার। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে একটিরও ছাড়পত্র নেই। এমনকি এই দুরামারি বাজারে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট লাইসেন্স প্রাপ্ত চারটি ওষুধের দোকান থাকলেও কয়েকটি ওষুধের দোকান লাইসেন্স ছাড়াই চলছে বলে স্বীকার করেছেন ড্রাগ কন্ট্রোলের জলপাইগুড়ির এক আধিকারিক। দুরামারি বাজারের পাশে রয়েছে দুরামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে বর্হিবিভাগে প্রতিদিন ডাক্তার বসেন। অভিযোগ, সেখানে ডাক্তার দেখাতে এলেই প্রাইভেট চেম্বারের এজেন্টরা রোগীদের টোপ দিচ্ছেন। দুরামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভালো চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে না বলে রোগীদের বিভ্রান্ত করছে ওই দালালরা। এর ফলে প্রতারিত হচ্ছে আদিবাসী শ্রেণির রোগীরা। খট্টিমারীর প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, দুরামারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার দেখানোর পর দোকানে ওষুধ কিনতে গেলে প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তার দেখানোর প্রলোভন দেওয়া হয়। বেশিরভাগ রোগীদের প্রাইভেট চেম্বারে আসার জন্য বলেন কয়েকজন ব্যক্তি। রোগীদের অভিযোগ, অনেক প্রাইভেট চেম্বারে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ লেখেন ডাক্তাররা।
প্রাইভেট চেম্বার খুলতে হলে স্বাস্থ্যদপ্তরের লাইসেন্স আবশ্যক। দুরামারিতে যে চেম্বার রয়েছে, তার। কোনওটির বৈধ লাইসেন্স নেই বলে জানিয়েছেন চেম্বারের মালিকরা। বুলু রায় নামে একটি প্রাইভেট চেম্বারের মালিক বলেন, আমাদের কারও ছাড়পত্র নেই। এভাবেই ব্যবসা করে আসছি। তবে লাইসেন্স না থাকায় একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, তেমনই স্বাস্থ্যদপ্তরের নাগালের বাইরে থাকছে এই চেম্বারগুলি। প্রশ্ন উঠেছে, স্বাস্থ্যদপ্তরের নজর এড়িয়ে কিভাবে প্রাইভেট চেম্বার চলছে? জলপাইগুড়ি ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিক রেজাউল আলম বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের কড়া নির্দেশিকা রয়েছে। আমাদের একটি টিম প্রতিনিয়ত এই সমস্ত এলাকায় অভিযান চালায়। পুজোর জন্য অভিযান থমকে রয়েছে। পরবর্তীতে অভিযান চালানো হবে।