খাদিমুল ইসলাম,বানারহাট: সংগঠন বিরোধী কাজের অভিযোগে জন্য পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বানারহাটের শালবাড়ি -১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি রবি সরকারকে। যাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছিলো বিতর্ক। এদিন বানারহাটের বিন্নাগুরিতে শাসকদলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে দেখা যায়নি এই বিতর্কিত অঞ্চল সভাপতি রবি সরকার কে। মঞ্চে দেখা গিয়েছে, সদ্য শালবাড়ী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি নির্মল রায়কে মঞ্চে তৃণমূলে জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ রাজ্যের মন্ত্রি সহ ব্লক অঞ্চল এবং শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতিকে দেখতে পাওয়া যায়। এদিনের এই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান শেষ হলেই মঞ্চের সামনে দাবি করেন সাসপেন্ড হওয়া সেই নেতা তাকে পুনরবহাল করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। সাসপেন্ড হওয়া অঞ্চল সভাপতি তার দাবিকে ঘিরেই নতুন করে বিতর্কে জন্ম দিল। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর যখন বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের অন্যতম জেলা সম্পাদক অরূপ দে দাবি করেছিলেন দলীয় কার্যালয় তাদের কাছে মন্দির। মন্দিরে বসে এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না দল। তাহলে কি ঘুরিয়ে হলেও তৃণমূলে জেলা সভাপতি সেই মন্দিরকে অপমান করাটাকেও কি মেনে নিলেন..? প্রশ্ন উঠছে তবে কি সংগঠনবিরোধী কাজ করে দলে থাকা যায়? নাকি দলের নীতি, আদর্শ বদলে গেল। অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। যদিও সাসপেন্ড হওয়া অঞ্চল সভাপতি রবি সরকারের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যায় রীতিমত রবি সরকার সহ বেশ কয়েকজন একেবারে দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে মদ এবং জুয়ার আসর বসিয়েছে। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই জেলা সভাপতির নির্দেশে সেই অঞ্চল সভাপতি কে দলীয় পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয় বলেই দাবি করেন বানাহাটের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং। এদিন পাল্টা সেই সাসপেন্ড হওয়ার নেতার দাবিকে ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সাসপেন্ড হওয়া অঞ্চল সভাপতি রবি সরকার জোরপূর্বক দাবি করেন জেলা সভাপতি তাকে অঞ্চল সভাপতি পদে পুনরবহালের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এদিন তার দলীয় অনুগামীদের দলীয় কার্যালয় নিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে রীতিমতো উল্লাসে মেতে ওঠেন সেই বিতর্কিত অঞ্চল সভাপতি। এদিকে ব্লক সভাপতি সেই নির্দেশিকাকে নিয়েই নতুন করে আরেকটি বিতর্কে জল্পনা। তাহলে কি তৃণমূল জেলা সভাপতি এবং ব্লক সভাপতির মধ্যে ঠান্ডা লড়াই এখনো অব্যাহত? গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরাই কি সাসপেন্ড হওয়ার নেতাকে পুনর্বহালের নির্দেশ? নাকি মনগড়া কাহিনী করেই অঞ্চল সভাপতি নিজের ক্ষমতা পুনরদখলের চেষ্টা করছেন? প্রশ্ন কিন্তু তুলছেন বিরোধীরা।