খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট: দুর্গাপুজো নয়, লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরেই আনন্দে মাতেন, জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের দুরামারীর বাসিন্দারা। তাই সারা বছর ধরে এই লক্ষ্মী পুজোর অপেক্ষাতেই দিন গোনেন স্থানীয় মানুষজন। এলাকার বাসিন্দাদের অনেক। আত্মীয়-স্বজন আসেন পুজো ও মেলার টানে দুরামারিতে। প্রতিবছরই প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজো অত্যন্ত ধুমধাম করে পালিত হয়, জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দুরামারিতে এখনকার অগ্নিমূল্যের বাজারেও নিজেদের সাধ্যমত বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মীপুজোর কেনাকাটা করছে গ্রামবাসীরা। দুরামারি লক্ষ্মীপুজোর মূল আকর্ষণ হল লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে মেলা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক এক দশক আগের কথা দুরামারি এলাকার বাসিন্দারা কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল ছিলেন তারা, কিন্তু কৃষি কাজ করেও তারা লাভের মুখ দেখতে পাইনি তাই বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে দুরামারি বাজারের লক্ষ্মীপুজোর উদ্যোগী নেয় , আর সেই থেকেই আজও দুরামারিতে পালিত হচ্ছে লক্ষী দশমীর পুজো ও মেলা বানারহাট এর দুরামারি লক্ষী দশমীর পুজো ও মেলা এতটাই খ্যাতি অর্জন করেছে যে, শুধু জলপাইগুড়ি জেলা নয়, আলিপুর থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি, এমনকি পাশের দেশ ভুটান বাংলাদেশের ও প্রচুর মানুষ এখানে প্রতিবছরই লক্ষ্মীপুজোর উৎসব দেখতে আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জীবনকৃষ্ণ দাস জানিয়েছেন, “একসময় ওই এলাকায় ফসল ঠিকমতো হতো না। তবে মা লক্ষ্মীর আরাধনার পর মা লক্ষ্মীর কৃপায় ওই এলাকায় প্রতিবছরই ভালো ফলন হয়ে থাকে। তাই প্রতিটি বাড়িতেই বেশ বড় করেই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়। প্রতিটি বাড়িতে পুজোর পাশাপাশি ওই গ্রামে লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে যে মেলা বসে তা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসে।” স্থানীয় এক গৃহবধূ সুজাতা দাস বলেন, “সকাল থেকেই আমরা পুজোর আয়োজন করে থাকি দুর্গাপুজোর থেকে আমরা এই লক্ষ্মী পুজোতেই বেশি আনন্দ করি।” মা লক্ষ্মী মূর্তি নিয়ে সেজে উঠেছে গোটা গ্রাম। পাঁচদিনের দুর্গাপুজোর আনন্দ লক্ষ্মীপুজোর দু’দিনেই পুষিয়ে নেন বানারহাট এর দুরামারির বাসিন্দারা। লক্ষ্মীপুজোয় আয়োজিত লক্ষ্মীমেলায় আসেন আশপাশের গ্রাম ও জেলা থেকে প্রচুর মানুষ। ফলে মেলাতেও ব্যবসায়ীদের ভালোই লক্ষ্মী লাভ হয়।