খাদিমুল ইসলাম,ডুয়ার্স: জলপাইগুড়িতে পূজার ভীড় সামলাতে লাঠি হাতে স্বয়ং জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডাবাহাল। পুলিশ সুপারের এহেন আচরণ মন জয় করেছে সাধারণ মানুষেও।
উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় ইংরেজিতে ফেল হওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে ইংরেজিতে এমএ করার পর হয়েছেন আইপিএস অফিসার। দেখিয়ে দিয়েছেন ফেল মানে ফেল নয়, ঘুরে দাঁড়ানো যায়। জেদ ও লক্ষ্য ঠিক থাকলে শত বাঁধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া যায়। আইপিএস এর মত সর্বভারতীয় পরিক্ষায় পাশ করলে বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার। কিন্তু পুলিশ সুপার হলেও একেবারে সাধারণ ভাবেই চলাফেরা করেন জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার জুড়ি মেলা ভার। জেলা জুড়ে একের পর এক বড় অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। ফলে একের পর এক অপরাধের সাজা ঘোষণা করেছে জেলা আদালত। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উদ্যোগে চালু হয়েছে চাকরির প্রশিক্ষণ। গতকাল রাতে তাকেই দেখা গেলো জলপাইগুড়ির পাতকাটা কোলনিতে পাতকাটা কালচারাল ক্লাব ও পাঠাগারের দুর্গাপূজা মন্ডপে যখন ভীড় তখন তিনি নিজেই লাঠি হাতে আর দশ টা পুলিশ কর্মী যেভাবে ভীড় সামলায় সেই দায়িত্ব পালন করছেন। সঙ্গে একই ভাবে লাঠি হাতে রয়েছেন কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত। জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ড বাহালে দিনরাত এভাবেই জেলা বিভিন্ন ব্লকে ছুটে বেড়াচ্ছেন। কয়েক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গভীর রাত পর্যন্ত কর্তব্যে অনর পুলিশ সুপার আর এই বিশ্ব উঠে আসলো আমাদের ক্যামেরায়। দর্শনার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে পুজো উপভোগ করতে পারেন সেই দিক মাথায় রেখে জলপাইগুড়ি গোসলা মোড় থেকে পাটকাটা কলোনি পলিটেকনিক কলে সংলগ্ন রাস্তায় বিকেল থেকেই রাত তিনটে পর্যন্ত জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসপি ট্রাফিক সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের এভাবেই ট্রাফিক সামলাতে লক্ষ্য করা যায়। জেলা পুলিশের এখনো কাজে সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু মানুষ।