নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটি পরিচালিত মিডিয়েশন প্রশিক্ষণে সূযোগ পেলেন পূবের কলম পত্রিকার আইনী সংবাদদাতা মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)। এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ২৮ জন মিডিয়েটর প্রার্থী হিসাবে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি /বিচারক, সিনিয়র আইনজীবীদের পাশাপাশি একজন সি.এ এবং পূবের কলম পত্রিকার আইনী সংবাদদাতা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।মোল্লা জসিমউদ্দিন গত ২০০২ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেছেন। একাধারে মফস্বল পত্রিকা ( নুতনহাট বার্তা, নব কাটোয়া বার্তা,কৃষি সমবায় পত্রিকা, এবং পৌষালি, সকলের জন্য, বেঙ্গল ভিউ, নুতন গতি, গলসি বার্তা,মুক্তোবাংলা ) গুলিতে যেমন সাংবাদিকতা করেছেন। ঠিক তেমনি সংবাদ প্রতিদিন, তারা নিউজ, ইটিভি নিউজ, গণমাধ্যম, টাইমস বাংলা,আকবর ই মশরিক, দৈনিক স্টেটসম্যান কাগজে সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি পূবের কলম পত্রিকার আইনী সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করে চলেছেন। এর পাশাপাশি টানা ১৪ বছর পূর্ব বর্ধমান জেলার কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলার আয়োজন করে আসছেন তিনি।জসিমউদ্দিনের প্রয়াত বাবা মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা নিম্ন আদালতে বিচারক হিসাবে টানা ত্রিশ বছর কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৩ সালে রাজ্যের জুডিশিয়াল পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি সৌমেন সেন মহাশয়ের নেতৃত্বধীন মিডিয়েশন এবং কনসলিয়েশন কমিটি সারা বছর বিচারাধীন মামলা গুলি বা প্রাক বিচারাধীন বানিজ্যিক মামলাগুলি দু পক্ষের সম্মতিতে নিস্পত্তি ঘটাচ্ছে বলে জানা গেছে । উক্ত কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে রয়েছেন শ্রীযুক্ত সঞ্জীব কুমার শর্মা। এবছর বেশ কয়েকটি পর্যায়ে মিডিয়েশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয়, যাতে প্রায় ১২৫ জন যোগদান করবেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি / বিচারক, বর্ষীয়ান আইনজীবীদের পাশাপাশি এবার সমাজের অন্য পেশার ব্যক্তিদের মিডিয়েটর হিসাবে দেখা যাবে।কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি রাজ্যের ৭২ টি এডিআর (বিকল্প বিবাদ নিস্পত্তি কেন্দ্র ) সেন্টারে (সদর এবং মহকুমা আদালতে অবস্থিত ) মিডিয়েটররা দু পক্ষ কে নিয়ে শুনানি চালিয়ে থাকেন। দু মাসের সময়সীমা এই মামলা গুলির চুড়ান্ত রিপোর্ট জারি হয়।৷ কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ( লিগ্যাল) আর, এবং মিডিয়েশন এবং কনসলিয়েশন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ড: শুভাশিস মুহুরী জানিয়েছেন – ” এবছর প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় ৫০ জন মিডিয়েশন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তৃতীয় দফায় ২৮ জন রয়েছেন প্রার্থী হিসাবে। এর সার্বিক লক্ষ হল দু পক্ষের সহমতের ভিক্তিতে দ্রুত মামলার নিস্পত্তি ঘটানো “। জানা গেছে এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টের প্রায় ৩০ টি এবং বিভিন্ন নিম্ন আদালতের ১৫০০ টি মামলা বিচারধীন রয়েছে মিডিয়েশন এবং কনসলিয়েশন কমিটির কাছে।