খাদিমুল ইসলাম,বানারহাট:নয় বছর আগে’ খুনের দায় দুষ্কৃতীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। দীর্ঘ ৯ বছর পর বিচার পেল দত্ত পরিবার। বিয়ের নয় মাসের মাথায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনা ২০১৫ সালের। ধূপগুড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গলপাড়ার বাসিন্দা লক্ষীকান্ত দত্তের ফুটফুটে মেয়ে রুমা দত্তের বিয়ে হয় বানারহাট এর বাসিন্দা সুব্রত পালের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই রুমার ওপর চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। প্রায় প্রতিদিনই অসহ্য যন্ত্রণা নিয়েই জীবন কাটছিল সদ্যবিবাহিতা মেয়েটির। একাধিকবার ওই পরিবারকে বোঝানো হলেও কর্ণপাত করেননি কারো কথায়। নয় মাসের মাথায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ঝুলিয়ে দেয় সুব্রত। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশ জানতে পারে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরবর্তীতে অভিযুক্ত স্বীকার করেন সমস্ত ঘটনা। দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ জেলা আদালতে ডিস্ট্রিক এন্ড সেশন জর্জ বিপ্লব দত্ত অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে। জর্জ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের যেকোনো একটি বেছে নিতে বলেন। অভিযুক্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বেছে নেয় বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী বিশ্বরূপ রায়।এই প্রসঙ্গে রুমা দত্তের বাবা লক্ষ্মীকান্ত দত্ত বলেন, আমার মেয়েকে বিনা দোষে মেরে ফেলেছে ওই পরিবার। আজকে বিচার হলো। সুব্রত পালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আমরা সকলেই খুশি। আমার মেয়ে যেখানেই থাকুক আজ বিচার পেয়েছে।