খাদিমুল ইসলাম,ডুয়ার্স: শিক্ষা কেন্দ্রে যারা শিক্ষা দান করবেন তাদেরই কোন পাত্তা পাওয়া যায় না। পড়াশুনা এক প্রকার লাটে উঠেছে তা বলা যেতে পারে। এমনই হাল জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রাজাডাঙ্গা ননফর্মাল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের। অভিযোগ, এই শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকারা সঠিক সময়ে আসেন না। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা ও পড়ুয়াদের অভিভাবকরা জানান, তারা সাধারণ পরিবারের খেটে খাওয়া দিনমজুর। তাই তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না বড় কোন স্কুলে সন্তানদের পড়ানোর। অনেক আশা ভরসা করে বাড়ির পাশে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে পাঠাতেন। কিন্তু এখানে দিদিমণিরা দেরি করে আসে এবং লেখাপড়াও সঠিকভাবে করায় না। এমনকি দীর্ঘ এক বছর ধরে স্কুলের ইলেকট্রিক মিটার বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। বাচ্চারা এই গরমে স্কুলের ক্লাসরুমের ভিতর থাকতে পারে না। অভিযোগের তালিকা আরও দীর্ঘ বলে জানিয়েছেন তারা। আজ একজন শিক্ষিকা উপস্থিত থাকেন তবে তিনি আজ প্রায় পৌনে বারোটা নাগাদ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে এসে পৌঁছোন। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন দিদিমণি শারীরক অসুস্থ থাকায় ক্রান্তি বিডিও অফিসে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ছুটি নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষিকা প্রতিদিনই নাকি দুপুর বারোটার পরেই আসেন এবং মিড ডে মিল খাওয়ানোর পরে বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পড়েন। এমনটাই অভিযোগ অভিভাবকদের। সঠিকভাবে লেখাপড়া না হওয়ায় তাই বাচ্চাদেরকে তারা স্কুলে পাঠান না।এদিকে এই বিষয়ে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা জানান, এলাকাবাসী তাকে জানিয়েছেন যে, স্কুলের শিক্ষিকারা সঠিক সময় আসেন না। শীঘ্রই তিনি এই বিষয়ে ক্রান্তি ভিডিও অফিসে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। অভিভাবক মহল সহ এলাকাবাসী চান খুব শীঘ্রই যেন প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দেন এবং পড়াশুনার সুব্যবস্থায় কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।এখন প্রশাসন কবে কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার অপেক্ষা।