খাদিমুল ইসলাম,ডুয়ার্স:গজলডোবার পর এবার ডুয়ার্সের মালবাজার ও ক্রান্তি ব্লক জুড়ে রিসোর্ট উচ্ছেদ অভিযান প্রশাসনের। ভাঙা হলো একের পর এক সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা রিসোর্ট।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন জায়গা জুড়ে রিসোর্ট উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। গত কয়েকদিন আগেই জলপাইগুড়ির গজলডোবা ভোরের আলোতে একাধিক রিসোর্ট ভাঙতে দেখা গিয়েছিল প্রশাসনকে। এবার সেই রিসোর্ট ভাঙতে দেখা গেল মাল এবং ক্লান্তি ব্লক জুড়ে। বুলডোজার নিয়ে একের পর এক রিসোর্ট ভাঙার কাজ শুরু করলো প্রশাসন। শুক্রবার চারটি এবং শনিবার অবৈধভাবে পাচঁটি রিসোর্ট ভাঙা হল ডুয়ার্স জুড়ে । সূত্রের খবর, বাকি রিসোর্ট গুলোও ভাঙা হবে।
এদিকে রিসোর্ট গড়ে ওঠা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যখন এই রিসোর্ট গুলো বেআইনিভাবে তৈরি হয় তখন কেনই বা অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। তখন কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। সূত্রের খবর রিসোর্ট গুলির ট্যাক্সও সরকারের খাতায় জমা পরেছে। যদিও মুখ খুলতে নারাজ প্রশাসনের কর্তারা।
এদিকে শনিবার রিসোর্ট ভাঙতে গেলে বিক্ষোভের মধ্যে সরকারি আধিকারিকদের। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং রিসোর্ট মালিকদের একাংশ তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেন। তাদের দাবি পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হোক।
এদিকে এইভাবে ডুয়ার্স জুড়ে একের পর এক রিসোর্ট ভাঙায় পর্যটন মহলেও জোর ধাক্কার আশঙ্কা। সব মিলিয়ে প্রশাসনের আগে কেন সজাগ হয় নি সেই প্রশ্নই উঠছে। আগে সজাগ হলে অন্তত এত কিছু হত না বলেই মত অনেকের।