অভিজিৎ হাজরা,হাওড়া :-রথযাত্রা উপলক্ষে ‘ ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন ‘ এর উদ্যোগে আমতা ও উলুবেড়িয়ায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও ভারতীয় প্রজাতির পাখি ধরা,নিধন ও চোরাচালান রুখতে সচেতনতা শিবির ও বৃক্ষ প্রদান কর্মসূচী। সচেতনতা শিবির গুলিতে ‘ ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন ‘ এর সম্পাদক শুভ্রদীপ ঘোষ, আমাদের আশপাশের জীব বৈচিত্রের সঙ্গে আমাদের ভালো থাকা বা মন্দ থাকার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। পরিবেশের জীব বৈচিত্র্য ভালো রাখতে না পারলে আমাদের ভালো থাকা প্রায় অসম্ভব। যুগ যুগান্তর ধরে প্রত্যেক ও পরোক্ষভাবে মানুষ খাদ্যের যোগান দিয়ে চলেছে পাখি। পাশাপাশি গাছের বীজ ছড়িয়ে বনায়ন, পরাগমিলন এবং কৃষিকাজে ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে তাদের বংশ বিস্তার রোধ করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষের চিরকাল মঙ্গল করে চলেছে পাখি। পাখিদের নয়নাভিরাম বর্ণময়তা নিঃসন্দেহে নান্দনিক মূল্য বহন করে; তাদের কুজন আমাদের মন ভালো করার এক দারুণ ঔষধ। পাখি যা জীব বৈচিত্রের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যাদের বেঁচে থাকা, সঠিক সংখ্যায় থাকা এবং সুস্থ থাকার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জুড়ে আছে কৃষিজাত দ্রব্যের উৎপাদন তথা মানুষের ভালো থাকা তথা বেঁচে থাকা। কৃষিক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়ে অপকারী
পোকা নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকরী উপায় পাখি যারা এই ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ দেরকে খেয়ে প্রাকৃতিক ভাবে ফসলের ক্ষতি সাধন রোধ করে তথা কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা হ্রাস করে। মানুষের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে কীটনাশক দ্রব্যের ব্যবহারের সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক। যখন থেকে বাণিজ্যিক ভাবে হাঁস মুরগি পালন শুরু হয়েছে তখন থেকে বন্য পাখি ধরা, নিধন এবং পাচার তথা চোরাচালান নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে। বন্যপ্রাণ আইন-১৯৭১ অনুযায়ী পাখি ধরা, নিধন এবং পাচার তথা চোরাচালান আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের আগামীর পথচলার রূপরেখা নির্ণয় করতে হবে। পাখিদের থেকে আমরা যা কিছু সুবিধা পাই তার ঋণ পরিশোধ মানুষের পক্ষে অসম্ভব ‘ ।
শুভ্রদীপ উপস্থিত দর্শনার্থী, পথচারীদের উদ্দেশ্য বলেন,আসুন আগামী পৃথিবী গড়ি মানুষ আর প্রকৃতির মেলবন্ধনে। আসুন প্রকৃতি, মানুষ, বন্যপ্রাণকে মিলিয়ে দিই। আসুন সহযাপনের পথে হাঁটি। যেখানে মানুষ এবং না-মানুষ একসাথে থাকবে,একসাথে বাঁচবে। এই প্রকৃতি মায়ের কোলে সকলের মুক্ত হয়ে বাঁচার অধিকার আছে। যে সকল স্বার্থান্বেষী মানুষ পাখি সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণের স্বাভাবিকভাবে বাঁচার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাদের নির্বিচারে নিধন ও পাচার করছে তাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলি, রুখে দাঁড়াই। যারা পাখি শিকার, পাখি নিধন ও চোরাচালান এর মতো কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। রাজ্যের বা জেলার যেকোন প্রন্তে পাখি পোষা পাখি ধরা ও কেনাবেচার নাম গোপন করে খবর দিতে পারেন নিচের ফোন নং গুলি তে।জন সচেতনতার উদ্দেশ্যে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে :
বনবিভাগ, হাওড়া ও হুগলী; পশ্চিমবঙ্গ সরকার;আমতা রথতলায় সচেতনতা শিবির ও বৃক্ষ প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন আমতা ১ নং ব্লকের বনদফতের কর্মী কাকুলী ময়রা জানা,শিল্পা খাঁড়া,গোবিন্দ্র প্রামাণিক,প্রতাপ প্রামাণিক, সৈকত বাড়ুই, রণজিৎ পাত্র, কাশীনাথ পন্ডিত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শৌর্য্যদীপ্ত নস্কর (সঞ্জু), শিক্ষক রাজদূত সামন্ত,’ ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন ‘ এর সম্পাদক শুভ্রদীপ ঘোষ সহ প্রমূখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উলুবেড়িয়া কালিবাড়িতে সচেতনতা শিবির ও বৃক্ষ প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া মহিলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ও সি) রিম্পা মন্ডল, বিশিষ্ট শিল্পপতি গৌতম বসু, উলুবেড়িয়া কালিবাড়ী -র পৃষ্ঠপোষক তপন আচার্য্য , শিক্ষক রাজদূত সামন্ত,’ ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন -র সম্পাদক শুভ্রদীপ ঘোষ সহ প্রমূখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।