খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট :- ডুয়ার্সের বানারহাট এর তোতাপাড়া স্কুল লাইন এলাকায় চা বাগানে চিতাবাঘের হামলায় শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চা বাগানে ঘুরে বেড়ানো চিতাবাঘগুলিকে খাঁচা বন্দী করতে তিনটি পৃথক জায়গায়। তিনটি খাঁচা পাতল বন দপ্তর। শুক্রবার বিকেলে সমবয়সি বন্ধুদের সঙ্গে চা বাগানে জঙ্গলি শাক তুলতে গিয়ে চিতাবাঘের হামলায় প্রাণ হারায় স্থানীয় গুদামলাইনের দিলজিৎ মাহালি (৮)। দিলজিতের বাবা-মা উভয়েই অন্য চা বাগানে চা বাগানের শ্রমিক। ঘটনার পর থেকেই মা মণিকা মাহালি কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। সদ্য ভাইকে হারানো দিলজিতের পাঁচ বছর বয়সি ছোট বোনও একপ্রকার নিশ্চুপ।
বাগানের শ্রমিকদের দাবি, বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ আস্তানা গেড়েছে এলাকায়। এদেরকে আটক করতে এদিন বন দপ্তরের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড বাগানের বিভিন্ন সেকশনে তিনটি খাঁচা পেতেছে। এদিন দুপুরে দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই বাগানের ৬ ও ৭ নম্বর সেকশন লাগোয়া রাস্তার ধারে একটি, ৮ এবং ৩ নম্বর সেকশনের সংযোগ বরাবর একটি এবং ২৮ ও ২৩ নম্বর সেকশনের সংযোগস্থলে আরও একটি খাঁচা পাতা হয়েছে।
বন দপ্তর সুত্রে খবর, তোতাপাড়া ছাড়াও বানারহাটের বেশ কয়েকটি চা বাগানে খাঁচা পাতা হবে। নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, বাগানে কাজ শুরুর আগে নিয়মিত বাঁশি বাজিয়ে ও আওয়াজ করে কাজ শুরু করা, এক লাইনে দাঁড়িয়ে পাতা তোলা, কাজ হয়ে গেলে জ্বালানি কাঠ, শাকসবজি কিংবা চা ফুল তোলার জন্য বাগানে একা একা না থাকা, ঝুঁকে কাজ না করা প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।