খাদিমুল ইসলাম, বানারহাট :- কি ভাবলেন গাছের মধ্যে ওটা আবার কি। চারিদিকে পাট ক্ষেত তার মাঝখান দিয়ে ছোট্ট একটি ঢালাইয়ের রাস্তা। আর সেই রাস্তার পাশেই সাইজের সাদা কাগজে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাঠুলিয়া গ্রামের ১৫/৬০ পার্টের বুথ সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতি বিরুদ্ধে পোস্টার ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পোস্টারে যা লেখা রয়েছে তা উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক ভাষা রাজবংশীতে লেখা, যদিও আবার শেষ লাইনটা হিন্দিতে। তবে কে বা কাহারা এই পোস্টার জুড়ে দিল মিলছে না কোন সদুত্তরি ” তবে এই পোস্টারে যা লেখা তার রীতিমত রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ক্ষমতার বাহাদুরি দেখিয়ে তৃণমূলের বুথ সভাপতি কেশব রায় রাস্তার হিম পাইপ চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনা নাকি ধামাচাপা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট গ্রামেরই অঞ্চল সভাপতি হরিচরণ রায়। আর তৃণমূল পরিচালিত এই পার্টে বিরোধীরা না থাকার কারণেই রাতের অন্ধকারকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে দাবি বিজেপির। তবে গোটা ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় রায় এর দাবি অবশ্য অন্য। না তিনি কি বলছেন, শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। পুরো ঘটনা চক্রান্ত এবং এখানে কোনরকম তৃণমূলের গোষ্ঠী গন্ধ নেই.
তবে এর আগেও ঝার আলতা এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতে কখনো স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে তো কখনো আবার অঞ্চল সভাপতি এর বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছিল। গোটা বিষয় নিয়ে আইনি তদন্ত করে পোস্টারে অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতি এর যথাযজ্ঞ শাস্তির দাবি করেছে বিজেপি। এদিকে গোটা ঘটনা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বুথ সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতি সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তদন্ত করে যথাযোগ্য আইনি ব্যবস্থা নেবে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাই দাবি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের।