খাদিমুল ইসলাম,বানারহাট: ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পর অন্যান্য বাংলো গুলির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে রাজ্যের দমকল বিভাগ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী খুট্টিমারি বন বাংলোর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে ধূপগুড়ি দমকল বিভাগের আধিকারিকরা। কমপক্ষে একশো বছর পুরোনো এই বাংলো বনদপ্তরের পরিদর্শন বাংলো হিসেবেই পরিচিত। এই বাংলোতে পর্যটকদের থাকার অনুমতি না মিললেও এটি ডুয়ার্সের একটি সুপরিচিত জায়গা। সাধারনত মন্ত্রী, আমলা সহ বনদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা এই বাংলোয় থাকেন। এই বাংলোয় হয়েছে একাধিক চলচিত্রের শুটিং ও। কাঠের তৈরি এই বাংলো ও তার আসবাবপত্র গুলি পরিচয় বহন করে সাবেকিয়ানার। এদিন এই বাংলোর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন দমকল বিভাগের আধিকারিকরা। সাথে উপস্থিত ছিলেন বনদপ্তরের মোরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল। সূত্রে মারফৎ জানা গিয়েছে, এই পরিদর্শনে এই বাংলোতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থায় কয়েকটি খামতি পেয়েছে দমকল বিভাগ। মূলত বাংলোয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। কি ব্যবস্থা নিয়ে সেসব খামতি পূরণ করা সম্ভব সে বিষয়ে দমকল বিভাগ রিপোর্ট তৈরি করে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষে জানাবে বলে জানা গিয়েছে। ধূপগুড়ি দমকল অফিসের ওসি বিপ্লব ঠাকুর জানান, ‘ দপ্তরের নির্দেশে এদিন খুট্টিমারি বন বাংলো পরিদর্শন করা হয়। কয়েকটি বিষয় আমরা লিপিবদ্ধ করে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানাবো। ’ মোরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল জানান, ‘ এদিন দমকল বিভাগের আধিকারিকরা খুট্টিমারি বন বাংলো পরিদর্শন করেন। দমকল বিভাগ যেভাবে আমাদের উপদেশ দেবে সেভাবে পরবর্তীতে বাংলোর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’